ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম হলো ফুটবলের মূল ভেন্যু। এছাড়া এই স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ফেডারেশনসহ আশপাশে নানান ক্রীড়া স্থাপনা । তবে এই স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে ঢুকলে খেলার মনোরম পরিবেশ চোখে পড়বে কম।  যত্রতত্র অস্থায়ী দোকান, গাড়ি পার্কিং, দোকানের জিনিসপত্র  ফুটপাতে থাকায় জনসাধারণের  হাঁটা-চলাই দায়। এছাড়া ভবঘুরে মাদকসেবীদের আনাগোনা তো আছেই।  তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামের ক্রীড়া পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আজ সোমবার প্রথমবারের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। তবে জরিমানা কিংবা শাস্তি না দিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোসামৎ ইসরাত মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম সহ দুই পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

হকি, ভলিবল ও কাবাডিসহ পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় অনেক দোকানের  সামনে হাঁটার পথে অনেক মালামাল ছিল। সেগুলো তাৎক্ষণিক সরানোর নির্দেশের পাশাপাশি আগামী দিনে এর পুনরাবৃত্তি হলে মাল ক্রোক ও জরিমানার হুঁশিয়ারি দেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত। 
স্টেডিয়াম পরির্দশন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই উপ-সচিব সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আজকের মোবাইল কোর্ট মূলত সচেতনতামূলক। তাই আজ কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আমরা এটি অব্যাহত রাখব এবং সামনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। স্টেডিয়াম এলাকা দর্শক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা যেন সুন্দর পরিবেশে যাতায়াত করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।’ 

অনিয়মের পেছনে  জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার কথা বেশ উচ্চারিত। সোমবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় সেই প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কারও এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকলে বা প্রমাণিত হলে ক্রীড়া পরিষদের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews