কানাডার ক্যালগেরিতে জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন তিন বাংলাদেশি। তারা হলেন ডক্টর খোকন সিকদার, নবাংশু শেখর দাস এবং প্রশান্ত রায়।
ম্যারাথন দৌড়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লাখো প্রাণের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়ে বীরশহীদদের ভালোবাসা আর সম্মানে সিক্ত করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
১৯৬৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রতিযোগিতার। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এবারের প্রতিযোগিতায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রভিন্সিয়াল গভর্নমেন্টে কর্মরত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডঃ খোকন চন্দ্র সিকদার বলেন, বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা একদিকে যেমন প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি সম্মান জানাচ্ছি, অপরদিকে দেশের মানুষদের একটিভ লিভিং এ অভ্যস্ত হতে প্রেরণা জাগাতে চাচ্ছি। বাংলাদেশের জেলায় জেলায় এমনকি উপজেলাশহরগুলোতে দৌড়, সাইক্লিংসহ বিভিন্ন একটিভ জীবনযাপনের ট্রেনিং ইন্সিটিউট এবং এর প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। এতে করে প্রায় সব বয়সী মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস আবার ফিরে আসবে। অল্পতেই অসুস্থ হওয়া, ঘন ঘন ডাক্তারের সান্নিধ্যে আসার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে, এবং যুবসমাজের মধ্যে ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরার প্রবণতা কমে আসবে।
দেশে অনেক ম্যারাথনে অংশ নেবার পরে ২০২১ সালের ক্যালগেরি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বুকে নিয়ে দৌড়ের স্বপ্ন নিয়ে প্রশান্ত রায় হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে ক্যালগেরি যান।
প্রশান্ত রায় তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোন বিকল্প নেই। অনেকেই এটাকে কষ্টের মনে করেন, কিন্তু শুরু করলে যে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ এটা ছাড়তে পারবে না।
প্রবল উচ্ছ্বসিত নবাংশু শেখর দাস বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরিতে পিএইচডি গবেষণারত। তার কাছে দৌড়টা হচ্ছে মানসিক চাপ দূর করার এক হাতিয়ার। তাই ল্যাবের কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই এক চক্কর দৌড় দিয়ে আসেন।