বিশ্ব আজ নজিরবিহীন জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। যার প্রভাব দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। খরা, অকালবৃষ্টি, তীব্র তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, জলাবদ্ধতা, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো শুধু ঘন ঘনই নয়, বরং আগের চেয়ে অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৫০ সাল থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা, ২০২০)। বিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করে আসছেন যে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর জন্য তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এছাড়া ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বৈশ্বিক ঈঙ২ কনসেনট্রেশন ৪২৬.০৩ পিপিএম রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৩.৭৮ পিপিএম বৃদ্ধি। এই প্রবণতা চলতে থাকলে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ক্কঈ বা তারও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করবে। অধিকিন্তু, ২০৫০ সালের মধ্যে যদি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা না যায়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হবে ভয়াবহ ও অপরিবর্তনীয় (ওচঈঈ)।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলই কমবেশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির শিকার হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো-বিশেষ করে বাংলাদেশ-সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০০০-২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৭ম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ (জার্মানওয়াচ, ২০২০)। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১৮৫টি চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ শুধু অতীতের ঘটনা নয়; বর্তমানেও বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে, যার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বন্যা, নদীভাঙন, খরা ও ঘূর্ণিঝড়। শুধু ২০২২ সালেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ এবং কৃষি উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা (বিশ্বব্যাংক ও জিএফডিআরআর এর যৌথ প্রতিবেদন)। এই সংকট শুধু প্রাকৃতিক নয়- এটি আমাদের জীবিকা, খাদ্যনিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, নারী-শিশু সুরক্ষা এবং সামগ্রিক অর্থনীতির ওপরও গভীর প্রভাব ফেলছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা বাধ্য হচ্ছেন বাসস্থান ছেড়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে। শহরমুখী এই অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ফলে বাড়ছে নগরীর চাপ, কর্মসংস্থান সংকট এবং সামাজিক অস্থিরতা। সুতরাং জলবায়ু সংকট আর ভবিষ্যতের কোনো আশঙ্কা নয়- এটি এখনই ঘটছে।
বর্তমান বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের পেছনে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হলো মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে অদূরদর্শী এবং পরিবেশ-বিরুদ্ধ ব্যবসায়িক চর্চা। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির ইমিসন গ্যাস রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ২১ শতাংশ দায়ী খনিজ জ্বালানিভিত্তিক শিল্প খাত। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় এবং পরিবেশ দূষণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে (বিশ্ব ব্যাংক, ২০২১)। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, পরিবেশসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থার ঘাটতি এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প ও অবকাঠামো খাতেও টেকসই নীতিমালার ঘাটতি জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্বলতাকে আরও তীব্র করেছে (জিজিজিআই, ২০২২)। এই বাস্তবতায়, টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা (ঝঁংঃধরহধনষব ইঁংরহবংং চৎধপঃরপবং) গড়ে তোলার বিকল্প নেই। টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা বলতে এমন ব্যবসায়িক কৌশল ও কার্যক্রমকে বোঝায় যা পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতির প্রতি দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যবসা শুধু আর্থিক লাভের দিকে নজর না দিয়ে, পরিবেশগত এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও পৃথিবী ও তার সম্পদ সুরক্ষিত থাকে। বিশ্বব্যাপী টঘএঈ এবং ডঈঊউ-এর মতো প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলো টেকসই ব্যবসায়িক চর্চাকে প্রাথমিকভাবে ‘সামাজিক, পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে লাভজনক এবং সমৃদ্ধ ব্যবসার অনুশীলন’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
বাংলাদেশে এখন টেকসই বা পরিবেশবান্ধব ব্যবসা বাড়ানোর জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ ব্যাংকিং নীতিমালা চালু করে। ২০২৪ সালের শেষ তিন মাসে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি টেকসই খাতে ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ৭,৬২০ কোটি টাকা সরাসরি পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে গেছে। সবুজ খাতে বিনিয়োগ আরও সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ শতাংশ সুদে বিশেষ ঋণ চালু করেছে। এর মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জৈব কৃষি আর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো সহায়তা পাচ্ছে। আবার সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার এবং ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ৯০ শতাংশ পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই উদ্যোগ শিল্প খাতে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। অধিকন্তু বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫.৭৭ লাখ টন টেক্সটাইল বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার বেশির ভাগই পুনর্ব্যবহার না করে ফেলা হয়। বর্তমানে কিছু স্থানীয় প্রতিষ্ঠান উন্নত প্রযুক্তি ও শ্রমিকদের জন্য ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে কাজ করছে।
টেকসই বা পরিবেশবান্ধব ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অর্থায়নও পাচ্ছে। ২০২৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের দুটি অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে এবং ২০০ মিলিয়ন ডলার সামাজিক সুরক্ষা ও কর্মসংস্থান সেবায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশের জন্য ১.১৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২২০ মিলিয়ন ডলার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়া বাংলাদেশে সবুজ ভবন নির্মাণে সরকার ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঝজঊউঅ যৌথভাবে ‘এৎববহ ইঁরষফরহম ঋবধঃঁৎবং’ নামে একটি রেটিং সিস্টেম চালু করেছে, যা পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় সবুজ ভবন নির্মাণে সহায়তা করে। একইসঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০–২৫) এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর আওতায় সরকার টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সরকারও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, আন্তর্জাতিক অর্থায়নও আসছে, কিন্তু তারপরও সাসটেইনেবল বিজনেস বা টেকসই উন্নয়ন বাস্তবে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি পাচ্ছে না। যদিও বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান এখনো এই ধারণাকে কৌশলগতভাবে গ্রহণ করেনি। ২০২৩ সালে ইউনাইটেড নেশনস গ্লোবাল কমপ্যাক্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই এখনো এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে তাদের কোর বিজনেস মডেলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। এর মূল কারণ হলো কাঠামোর দুর্বলতা ও কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলন প্রতিষ্ঠার পথে বিভিন্ন কাঠামোগত ও বাস্তবায়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ দৃশ্যমান। প্রথমত, শক্তিশালী নীতিমালা ও নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। যার পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমন্বয়হীনতা একটি বড় বাধা। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এখনো স্বল্পমেয়াদি মুনাফাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং টেকসই ব্যবসা মডেলকে অতিরিক্ত ব্যয়সাপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে চলে। তৃতীয়ত, উদ্যোক্তা, কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সাসটেইনেবল বিজনেস মডেলের প্রয়োজনীয়তা, কার্যকারিতা এবং সম্ভাব্য আর্থিক সুফল সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। চতুর্থত, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রযুক্তি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সক্ষমতার অভাব, বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ, দুর্নীতি ও স্বচ্ছতার অভাব নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। যার ফলে অনেক পরিবেশ-ধ্বংসী ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তাই বাংলাদেশে টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা প্রতিষ্ঠায় এখন সময়োপযোগী, কঠোর এবং সুসংহত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, শক্তিশালী নীতিমালা এবং নির্দেশিকাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা জরুরি। এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর মনিটরিং এবং প্রয়োগ নিশ্চিত হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টেকসই ব্যবসা মডেলের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে শিক্ষণীয় কর্মশালা এবং প্রোগ্রাম আয়োজন করা উচিত। উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তাদের প্রণোদিত করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা উচিত, বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (ঝগঊং) জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিত করা। চতুর্থত, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলোতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে কর অবকাশ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা অধিক হারে চালু করা উচিত। সর্বশেষ, দুর্নীতি ও স্বচ্ছতার অভাব কাটিয়ে উঠতে কার্যকর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য তৎপরতা চালানো প্রয়োজন, যেন সঠিকভাবে পরিবেশগত নিয়মকানুনগুলো অনুসরণ করা হয় এবং পরিবেশ-ধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ হয়।
বর্তমান জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা প্রতিষ্ঠা একটি জরুরি ও মৌলিক পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবু কার্যকর বাস্তবায়নে অনেক বাধা রয়েছে। শক্তিশালী নীতিমালা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সচেতনতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন কঠোর বাস্তবায়ন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা এবং শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করে তোলা সম্ভব। তাই এই সংকট মোকাবিলায় সবার সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। যাতে আমরা একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]