নির্ধারিত বিমান মিস করায় শুক্রবার দুপুরে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বছর তিরিশের ভূমি চৌহান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী যে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়, সেই বিমানেই তার যাত্রা করার কথা ছিল।
অঙ্কলেশ্বরের বাসিন্দা ভূমি চৌহান সড়কপথে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘সময়মতো আহমেদাবাদ পৌঁছালেও শহরের ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমি পাঁচ মিনিট দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছাই। তাই আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।’
’প্রথমে এই ভেবে খুব খারাপ লেগেছিল যে টিকিটের টাকাটা নষ্ট হয়েছে, হয়ত চাকরি হারাতে পারি। কিন্তু এখন আমি কৃতজ্ঞ। টাকা হয়তো নষ্ট হয়েছে, কিন্তু জীবন বেঁচে গিয়েছে।’
পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ভূমি চৌহান। বছর দুয়েক আগে ব্রিস্টলের বাসিন্দা কেওয়াল চৌহানকে বিয়ে করেন তিনি।
যানজটে আটকে থাকাকালীন অনলাইনে ফ্লাইটের জন্য ‘চেক-ইন’ করেছিলেন ভূমি।
’এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বলেছিলেন আমি দেরি করেছি। ইমিগ্রেশন হয়ে গিয়েছে, বোর্ডিং প্রক্রিয়াও শেষ। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম, আমি চাকরি হারাতে পারি। টিকিটের টাকাও নষ্ট হবে। কিন্তু কেউ শোনেনি।’
এরপরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান। ফেরার সময় চা খাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই দুর্ঘটনার খবর পান।
’আমরা চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। ট্রাভেল অ্যাজেন্টের সাথে আলোচনা করছিলাম, কিভাবে টাকাটা ফেরত পাওয়া যায়। সেই সময় ফোন আসে। জানতে পারি যে বিমানটিতে আমার যাওয়ার কথা ছিল, সেটি ক্র্যাশ করেছে। আমরা সাথে সাথে মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আহমেদাবাদের ট্রাফিক জ্যাম আমার জীবন বাঁচিয়েছে।’
সূত্র : বিবিসি