লব কুশের রাজ্যাভিষেক, কৃত্তিবাস অনূদিত ‘রামায়ণ’, কলকাতা, বিদ্যারত্ন প্রেস, ১৮৫৭, (ছবিটি সাদাকালো থেকে রঙিন করা হয়েছে)।
লব কুশের রাজ্যাভিষেক, কৃত্তিবাস অনূদিত ‘রামায়ণ’, কলকাতা, বিদ্যারত্ন প্রেস, ১৮৫৭, (ছবিটি সাদাকালো থেকে রঙিন করা হয়েছে)।
‘রামায়ণ’ বইটির নাম মনে আসার সঙ্গে সঙ্গে কানের মধ্যে বাজতে থাকে ওই বইয়ের লেখক কৃত্তিবাসের নাম। পুরো নাম কৃত্তিবাস ওঝা। এই কৃত্তিবাসকে বলা হয় ‘প্রথম বাঙালি অনুবাদক’ বা বাংলা ভাষার অনুবাদক।
অন্য ভাষার সাহিত্যকে সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায় যদি বলি, তবে বলতে হবে, ‘নিজের ভাষায় বদলে নিয়ে’ বাঙালি পাঠক সমাজের সামনে তুলে ধরার প্রথম কৃতিত্ব কৃত্তিবাস ওঝার। কৃত্তিবাস ওঝা চতুর্দশ শতকের অন্যতম প্রধান কবি।
‘কৃত্তিবাসী রামায়ণ’-এর কোনো কোনো সংস্করণে ‘কৃত্তিবাসের আত্মপরিচয়’ শিরোনামে একটি অধ্যায় আছে। এই আত্মবিবরণীতে তার বংশ পরিচয়ের উল্লেখ আছে। গবেষকদের কেউ কেউ আবার এটা গ্রহণ করতে নারাজ। তারা এই আত্মবিবরণীকে আধুনিককালের অর্থাৎ উনিশ শতকের শুরুর দিকের সংযোজন বলে মনে করছেন।
আগের দিনে পুঁথিসাহিত্য নকল করাকে অনেকে ‘পূণ্যির কাজ’ বলে মনে করতেন। তেমন একটা উদ্দেশ্য থেকে হয়তোবা এধরনের সংযোজন হয়ে থাকতে পারে। দীনেশচন্দ্রের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’-এর দ্বিতীয় সংস্করণে এই আত্মবিবরণী প্রকাশের পর মানুষের ধারণা কিছুটা পাল্টাতে থাকে। পাঠক তাকে কৃত্তিবাসের লেখা হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে।
অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ বইয়ে লিখেছেন, “ছাপার অক্ষরে সর্বপ্রথম কৃত্তিবাস-পরিচয় মুদ্রিত করেন হরিশচন্দ্র মিত্র কৃত্তিবাসের পরিচয়সংগ্রহ (ঢাকা ইউতে প্রকাশিত) নামক একখানি পুস্তিকায় (আনুমানিক ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ)”। এর আগে রামায়ণ পাঠে বাঙালি নিবেদিত হলেও এর লেখক সম্পর্কে তেমন আগ্রহী ছিল না। হরিশচন্দ্র মিত্র কৃত্তিবাস সম্পর্কে যতটুকু জেনেছিলেন, তা মূলত গ্রামবাংলার রামায়ণ পাঠকদের কাছ থেকে। তাদের মুখনিঃসৃত বাণীটুকুই তিনি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করেছিলেন মাত্র।
কিন্তু পরবর্তীতে নলিনীকান্ত ভট্টশালী উল্লেখ করেন, হরিশচন্দ্র মিত্র মহোদয়ের কাছে সংরক্ষিত কৃত্তিবাস ওঝার আত্মবিবরণী নকল। এর আগে দীনেশচন্দ্র হরিশচন্দ্র মিত্র মহোদয়ের কাছে সংরক্ষিত কৃত্তিবাস ওঝার এই আত্মবিবরণী প্রকাশ করেন। এই আত্মবিবরণী অনুসরণ করে পরবর্তীকালে যোগেশচন্দ্র রায় প্রথমবারের মতো বিদ্যানিধি সাহিত্য পরিষদ পত্রিকায় জ্যোতিষ গণনার মাধ্যমে কৃত্তিবাসের জন্ম সাল বের করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, কৃত্তিবাস ওঝা ১৪৩২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে নলিনীকান্ত ভট্টশালীর অনুরোধে যোগেশচন্দ্র রায় আবার গণনা করে দেখলেন, কৃত্তিবাস ওঝা ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এটিকেই অধিকতর সঠিক বলে মনে করা হয়ে থাকে। কারণ নলিনীকান্ত ভট্টশালী মূল পুঁথির আত্মবিবরণী আবিষ্কার করলে এটা নিশ্চিত হয় যে, দীনেশচন্দ্র প্রকাশিত বহুল প্রচারিত আত্মবিবরণীতে কিছুটা বিকৃতি আছে। তবে সম্পূর্ণটা কাল্পনিক নয়।
অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ বইয়ে লিখেছেন, “ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল টেক্সটস পাবলিকেশনস কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্য গ্রন্থমালার চতুর্থ গ্রন্থরূপে মহাকবি কৃত্তিবাস বিরচিত রামায়ণের আদিকাণ্ড টীকাটিপ্পনীসহ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন পুঁথির পাঠ মিলাইয়া মিশ্র ধরনের কাব্যখানি ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয়। ইহাতে তিনি চারিখানি পুঁথির উল্লেখ করেন যাহাতে কৃত্তিবাসের আত্মপরিচয়ের অংশতঃ উল্লেখ আছে। ইহার মধ্যে দুইখানি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে (১২ নং এবং ১২৪ নং) একখানি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৭১ নং) এবং একখানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথিশালায় আছে (কে ৪৮৮)।”
তবে দীনেশচন্দ্র সেন ও নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রকাশিত আত্মবিবরণী দুটি থেকেই কৃত্তিবাস ওঝার জীবনকথা জানা যায়। যোগেশচন্দ্রের আগে আরও কয়েকজন পণ্ডিত কৃত্তিবাস ওঝার জন্মসন নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা হলেন- প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, নগেন্দ্রনাথ বসু ও দীনেশচন্দ্র সেন। তবে শেষাবধি যোগেশচন্দ্রের নির্ধারিত জন্মসন (১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দ) পণ্ডিতদের কাছে অধিক সমাদৃত হয়।
কৃত্তিবাস ওঝার পূর্বপুরুষ ছিলেন চট্টগ্রামের। তিনি চট্টগ্রাম জেলার অধিবাসী নরসিংহ ওঝার (নৃসিংহ ওঝা) বংশধর। সুবলচন্দ্র মিত্রের অভিধান ও রজনীকান্ত চক্রবর্তীর লেখা ‘গৌরীয় ইতিহাস’ বইয়ে আছে, “ফরুদ্দিন পূর্ববঙ্গ অধিকারের পর পূর্ববঙ্গ হইতে যাইয়া নৃসিংহ ওঝা গঙ্গাতীরবর্তী ফুলিয়া গ্রামে বসবাস করেন। ঐদিকে ইবনে বতুতার ভ্রমণ বৃত্তান্তে দেখা যায়, সেই সময়ে চট্টগ্রামে ফরুদ্দিনই শাসনকর্ত্তা ছিলেন। ইহাতে প্রতীয়মান হয়, নরসিংহ ওঝা এই চট্টগ্রাম হইতে ফুলিয়া পালাইয়া গিয়াছিলেন। এখনও চট্টগ্রামের ওঝারা ঝারাফুকার মন্ত্রে নরসিংহের দোহাই দিয়া থাকেন ও নরসিংহের দোঁহা, ডাল ইত্যাদি গাহিয়া থাকেন”, (চৌধূরী শ্রী পূর্ণচন্দ্র দেববর্ম্মা তত্ত্বনিধি: চট্টগ্রামের ইতিহাস)।
কৃত্তিবাস ওঝার পূর্বপুরুষ নরসিংহ ওঝা ছিলেন বঙ্গদেশীয় রাজা বেদানুজের একজন সভাসদ। রাজা বেদানুজ রাজ্যচ্যুত হলে নরসিংহ ওঝা বাস্তুচ্যুত হন। তারা ছিলেন ‘মুখুটি’ (মুখোপাধ্যায়) বংশজাত বাঙালি ব্রাহ্মণ। পারিবারিক শিক্ষকতা পেশার কারণে ‘উপাধ্যায়’ পদবি লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে, এই ‘উপাধ্যায়’ শব্দের বিকৃত রূপ বা স্থানীয় রূপ ‘ওঝা’। কৃত্তিবাস ওঝার পিতার নাম বনমালী ওঝা। বনমালী ওঝার পিতার নাম মুরারি ওঝা। মুরারি ওঝার পিতার নাম গর্ভেশ্বর ওঝা। গর্ভেশ্বর ওঝার পিতা হলেন বেদানুজের সভাসদ নরসিংহ ওঝা। অর্থাৎ নরসিংহ ওঝা হলেন কৃত্তিবাস ওঝার পিতামহের পিতামহ (অতি-বৃদ্ধ প্রপিতামহ)।
কৃত্তিবাস ওঝা আনুমানিক ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়া গ্রামে (মতান্তরে রাজশাহী জেলার প্রেমতলীতে) রোববার মাঘ মাসের শ্রীপঞ্চমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর পরিষ্কার বস্ত্রে জড়িয়ে পিতা বনমালী ওঝা শিশু পুত্রকে কোলে তুলে নেন। তারপর বনমালী ওঝা প্রথম পুত্রসন্তানকে তুলে দেন পিতা মুরারি ওঝার কোলে। পিতামহ মুরারি ওঝা পৌত্রের নাম রাখলেন ‘কৃত্তিবাস’। বনমালী ওঝার সন্তানদের মধ্যে কৃত্তিবাস ওঝা ছিলেন সবার বড়।
কৃত্তিবাস ওঝা ১৪০৯-১০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সময়ে যখন তার বয়স বারো বছর, সেসময়ে তিনি গৃহশিক্ষা শেষ করে বড়গঙ্গা (পদ্মা নদী) পার হয়ে উচ্চতর বিদ্যার্জন করতে উত্তরবঙ্গ চলে আসেন। এখানে তিনি এক গুরুর অধীনে লেখাপড়া শেষ করেন। এক মঙ্গলবার, কৃত্তিবাস ওঝা গুরু দক্ষিণা দিয়ে গুরুর কাছে বিদায় নিলেন।
কৃত্তিবাস ওঝার ইচ্ছে রাজপণ্ডিত হবেন। এ কারণে তিনি ১৪১৫-১৮ খ্রিস্টাব্দের দিকে গৌড়েশ্বর রাজা গনেশনারায়ণ ভাদুড়ির (মতান্তরে রাজা গনেশের পুত্র যদু সেনের কাছে আসেন। যদু সেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তখন তার নাম রাখেন সুলতান জালালউদ্দীন) রাজ দরবারে আসেন।
তখন রাজ দরবারে চলছে। কৃত্তিবাস ওঝা সাতটি শ্লোক লিখে দ্বার-রক্ষকের মাধ্যমে রাজার কাছে পাঠালেন। তিনি রাজার অনুমতির অপেক্ষায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন। দুপুরের পর দরবার ভাঙল। রাজার নির্দেশে প্রহরী কৃত্তিবাস ওঝাকে রাজার কাছে নিয়ে গেল। কৃত্তিবাস রাজাকে সাতটি শ্লোক শোনালেন। গৌড়েশ্বর এসব শুনে মুগ্ধ হন। তিনি কবি কৃত্তিবাস ওঝাকে ফুলের মালা নিয়ে বরণ করে নিলেন। সেইসঙ্গে অনেক উপহার দিয়ে সম্মানিত করলেন। এসময় গৌড়েশ্বর কৃত্তিবাস ওঝাকে বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করতে অনুরোধ করেন।
মধ্যযুগের অন্যতম প্রধান কবি কৃত্তিবাস ওঝা বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণের হুবহু আক্ষরিক অনুবাদ করেননি। বাল্মীকির রামায়ণে আনুমানিক ২৪ হাজার শ্লোক আছে। আধুনিক ইউরোপীয় গবেষকদের মতে, কৃত্তিবাস ওঝা মধ্য থেকে ছয় হাজার শ্লোক অনুবাদ করেন। গৌড়েশ্বর গনেশনারায়ণ ভাদুড়ির পৃষ্ঠপোষণায় তিনি বাঙালির আবেগ, অনুভূতি আর রুচির কথা স্মরণে রেখে পয়ার ছন্দে বাল্মীকি রামায়ণের বাংলা অনুবাদ করেন।
ভাবানুবাদের সময়ে কৃত্তিবাস অনেক স্বাধীনতা নিয়েছিলেন। যেখানে বাঙালির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নানা প্রকাশ ঘটেছে। যেমন কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণে আছে, রাম ‘অকাল বোধন’ করেছেন, যা আজ শরৎকালে বাঙালি সমাজে ‘সর্বজনীন দুর্গাপূজা’ নামে উদযাপিত হয়। বাল্মীকির রামায়ণে এই দুর্গাপূজার উল্লেখ নেই। অনেক গবেষক, কৃত্তিবাসী রামায়ণে বিদেশি লোকগাথার অনেক চরিত্রের মিল খুঁজে পেয়েছেন। গ্যালিক উপাখ্যানের দৈত্য ও অপদেবতার উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন, যা কিনা বাল্মীকি রামায়ণে ছিল না।
কৃত্তিবাস ওঝা সাত খণ্ডে রামায়ণ লেখা শেষ করেন। এগুলো হলো- ‘আদিকাণ্ড’, ‘অযোধ্যাকাণ্ড’, ‘অরণ্যকাণ্ড’, ‘কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড’, ‘সুন্দরাকাণ্ড’, ‘লঙ্কাকাণ্ড’ ও ‘উত্তরাকাণ্ড’। কৈলাশচন্দ্র ঘোষ ১৮৮৪ সালে ‘বাঙ্গালা সাহিত্য’ নামে বইয়ে সর্বপ্রথম জানান, “কৃত্তিবাস ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে রামায়ণ রচনা করেন।” কৈলাশচন্দ্র ঘোষ দেবীবর ঘটকের কুলজীগ্রন্থের বর্ণনানুসারে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন বলে ওই বইয়ে উল্লেখ করেন।
কৃত্তিবাস ওঝা রচিত রামায়ণের প্রথম পাঁচ খণ্ড উইলিয়াম কেরির বিশেষ উদ্যোগে ১৮০২ সালে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এরপর জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের উদ্যোগে ১৮৩০-৩৪ সাল নাগাদ সময়ে পরবর্তী দুখণ্ড প্রকাশিত হয়। কৃত্তিবাস ওঝার এই রামায়ণ পাঠ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, “এই কাব্যে প্রাচীন বাঙালি সমাজই আপনাকে ব্যক্ত করিয়াছে।” মাইকেল বলেছিলেন, “কৃত্তিবাস, কীর্তিবাস কবি এ বঙ্গের অলঙ্কার।”
কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণ বাঙালি সমাজে ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ নামেও পরিচিত। তবে আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না, কৃত্তিবাসের এই রামায়ণ বাংলা সাহিত্যের আদি মহাকাব্য হিসেবে নন্দিত। অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ বইয়ে লিখেছেন, “মহাকাব্য হিসাবে রামায়ণ আদি মহাকাব্য: ইহাতে পুরণাদির মতো ধর্মনীতি ও চারিত্র-আদর্শেরও প্রচুর প্রভাব রহিয়াছে; হয়তো সমগ্র কাহিনীটির অন্তরালে কোন ঐতিহাসিক সত্য বা জাতিগত বিরোধের অলিখিত ইতিবৃত্ত লুকাইয়া আছে। কিন্তু রামায়ণের যদি কোন আকর্ষণ থাকে-যাহা বহু শতাব্দী পরেও ভারতচিত্তে অদ্যাপি অম্লান হইয়া রহিয়াছে, তাহা হইল ইহার গার্হস্থ্য জীবনচিত্র। মহাভারত বহিরঙ্গচারী বৃহৎ জীবনের মহাকাব্য; রামায়ণ সীমাবদ্ধ গৃহধর্মাদর্শের চরিতকথা। ভারতবর্ষ প্রধানতঃ গৃহধর্মকেই জীবনাদর্শরূপে গ্রহণ করিয়াছে।”
কৃত্তিবাস ওঝা আনুমানিক ৭০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ওই হিসেবে তিনি ১৪৬৮ বা ১৪৭৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।