৩ ঘন্টা আগে
সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'গোপালগঞ্জে তিনটি মামলায় আসামি ২৬০০, গ্রেপ্তার ১৬৭'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গত দু'দিনে তিনটি মামলায় ২,৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অন্তত ১৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অনেক পরিবারের দাবি, যাদের ধরা হয়েছে, তাদের মধ্যে শিশু, স্কুলছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক, পানি সরবরাহকারীসহ সাধারণ মানুষ রয়েছেন, যাদের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।
এমনকি ১৬ বছরের কিশোর, ওষুধ কিনতে যাওয়া ছাত্র, পরীক্ষার সময় ঝালমুড়ি খেতে বের হওয়া স্কুলছাত্র, কাজ শেষে ঘরে ফেরা শ্রমিক কিংবা চা খেতে যাওয়া বৃদ্ধ পর্যন্ত আটক হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজনদের যাচাই করে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
এর মধ্যে, শহরে কারফিউ চলছে, শুক্রবার নামাজের সময় কিছু সময় শিথিল করা হলেও এরপর জনমানবহীন হয়ে পড়ে গোপালগঞ্জ শহর।
এসব ঘটনায় পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক, অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরা থানার সামনে ভিড় করলেও অধিকাংশই জানেন না কেন এবং কোন অপরাধে তাদের স্বজনকে ধরা হয়েছে।
মামলাগুলোতে অনেকেই অজ্ঞাত আসামি হিসেবে যুক্ত, যা ক্রমাগত জনমনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন দমন-পীড়ন আগে কখনো দেখেননি।


প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর জেলায় কারফিউ জারি করা হলে শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামের পুরুষরা রাত হলেই বাড়ি ছেড়ে আশেপাশের গ্রামে বা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
অনেকেই দিনেও বাড়িতে থাকছেন না, কারণ পুলিশের ধরপাকড়ে নিরীহ মানুষও গ্রেপ্তার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
কিছু পরিবার জানিয়েছে, তাদের কোনো পুরুষ সদস্য এখন আর ঘরে রাত কাটান না, মহিলারা বাড়িতে থেকে সবসময় আতঙ্কে আছেন।
কারফিউর মধ্যে শহরে দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা, যান চলাচল নিষিদ্ধ। সেনাবাহিনী, বিজিবি'র পাশাপাশি নতুন করে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড মোতায়েন হয়েছে।
নদীপথেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশের মামলায় ইতোমধ্যে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকেই অজ্ঞাত।
গত বুধবার এনসিপির 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চার কর্মী নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন।
এরপর প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং পরে কারফিউ দেয়। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে ১৭টি কারাগারে নজিরবিহীন হামলা ও বিদ্রোহ হয়।
নরসিংদী থেকে শুরু হয়ে কাশিমপুর, জামালপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, শেরপুরসহ বিভিন্ন কারাগারে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে, দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করে এবং অনেক জায়গায় গেট ভেঙে বেরিয়ে যায়।
গাজীপুর ও জামালপুরে কারারক্ষীদের গুলিতে ১৩ জন বন্দি নিহত হয় এবং ২৮২ জন কারারক্ষী আহত হন।
পাঁচটি কারাগার থেকে দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যান, যাদের মধ্যে এখনও প্রায় ৭০০ জন পলাতক, এর মধ্যে নয় জন জঙ্গিও রয়েছে।
৯৮ জন ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অনেকে বিচারাধীন আসামি। এ সময় ৯২টি অস্ত্র খোয়া যায়, যার মধ্যে এখনো ২৭টি উদ্ধার হয়নি।
সবচেয়ে বড় হামলাগুলো ঘটে কাশিমপুর ও জামালপুরে। সেখানে গুলিতে বহু বন্দি নিহত ও আহত হয়।
বন্দিরা শুধু পালায়নি, কারাগারের সম্পদ, খাদ্য ও অস্ত্র লুট করেছে। সরকার কারাগারগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং সীমানাপ্রাচীর উঁচু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছিল, বিশেষ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে ওঠে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন চালু হচ্ছে ঢাকায়'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা পাবে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এটি তাদের তথ্যানুসন্ধান ও আগের সুপারিশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
সেইসাথে সরকার, নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করবে।
এই মিশনের আওতায় সরকার ও নাগরিক সমাজের লোকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তবে এ মিশনের অধীনে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের পূর্ণ দায়মুক্তি থাকবে, এমনকি তারা চাকরি শেষ করার পরও।
এ বিষয়টি নিয়ে অনেক কূটনীতিক প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ স্থানীয় নাগরিকদের এমন দায়মুক্তির উদাহরণ আগে ছিল না।
কিছু সাবেক কূটনীতিক মনে করছেন, বাংলাদেশকে বুরকিনা ফাসো বা সিরিয়ার মতো দেশে তালিকাভুক্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়।
তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, একটি এক বছর মেয়াদি কারিগরি সহায়তা মিশন তিন বছরে সম্প্রসারিত হওয়ায় ভবিষ্যতে এর কার্যক্রম অবারিত হতে পারে।
তবে সরকারের কেউ কেউ মনে করছেন, যদি মিশনটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে মানবাধিকার উন্নয়নে এটি কার্যকর হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যা দুই দেশের বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে চিঠি দিয়ে ১লা আগস্ট থেকে ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা জানান।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাণিজ্য নয়, বরং ভূরাজনৈতিক স্বার্থে চাপ সৃষ্টি করতেই শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র এমন সব শর্ত দিচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য মানা প্রায় অসম্ভব। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রের মান ও নিয়ম সবক্ষেত্রে মেনে চলা, মার্কিন ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়া, এমনকি চীনের পণ্য বা প্রযুক্তি ব্যবহারেও বাধা।
এতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং চীন-রাশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে।
আলোচনার শুরুতে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উপেক্ষা করা হয়, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
পরবর্তীতে প্রস্তুতি ছাড়াই আলোচনা শুরু করায়, এখন তৃতীয় দফায় অংশগ্রহণের আগে দেশীয় অবস্থান ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আলোচনায় সফল না হলে অর্থনীতি, রপ্তানি এবং কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা দীর্ঘমেয়াদে বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'শুল্ক জটে ব্যবসায়ীরা চাপে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নানা সংকটে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় এ খাত বড় বিপদে পড়েছে।
আগেও ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, এখন মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ দিতে হবে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনাম মাত্র ২০ শতাংশ দেয়।
ফলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ওপর আগামী বছর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হলে ইউরোপের অগ্রাধিকারমূলক সুবিধাও হারাবে, যদিও আরও তিন বছর ছাড় পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে দেশের ভেতরে জ্বালানি সংকট, উচ্চ ঋণের সুদ এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ব্যবসায়ীদের চাপ বাড়াচ্ছে। ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়ে ১৫ শতাংশ হওয়ায় বিনিয়োগ কমে গেছে।
তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ খাতেও সংকট দেখা দিচ্ছে, কারণ কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো খরচ কমাতে কর্মীদের ইনসেনটিভ ও বেতন কমিয়ে দিচ্ছে।
অর্থনীতিতে আমদানিনির্ভরতা এবং গ্যাস উত্তোলনে সঠিক পদক্ষেপ না থাকাও সমস্যা বাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে নীতিগত সহায়তা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষভাবে আলোচনায় না বসলে রপ্তানিতে মারাত্মক ধস নামতে পারে, যা পুরো অর্থনীতিকে নাড়া দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে লন্ডনগামী বিমানের দুটি ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সময়মতো উড়তে পারেনি।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রথমে একটিতে যাত্রীদের বসানো হয়, কিন্তু উড়ার আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। যাত্রীদের নামিয়ে আবার আরেকটি বিমানে প্রস্তুতি নেওয়া হয়, কিন্তু সেটিতেও সমস্যা দেখা দেয়।
শেষে দুবাই থেকে আসা আরেকটি ফ্লাইটে যাত্রীদের তোলা হয়। এ কারণে শুধু ঢাকায় নয়, সিলেট ও লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরেও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এই ঘটনার কারণে বিমানের শিডিউল সম্পূর্ণ এলোমেলো হয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা বলছেন, বারবার বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার বড় ব্যর্থতা।
কেবিন ক্রুদের ভাষ্যমতে, বোয়িং ৭৩৭-এর দুইটি বিমানে প্রায়ই এমন সমস্যা হয়, যা নিয়ে তারা আতঙ্কে থাকেন এবং বিমান কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এই অব্যবস্থাপনা এবং ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফট ব্যবহারে যাত্রীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এক বছর আগেও ডলারের ভয়াবহ সংকট থাকলেও এখন বাজারে অতিরিক্ত ডলারের সরবরাহ দেখা যাচ্ছে।
এতে টাকার মান দ্রুত বাড়তে শুরু করায়, বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে ডলার কিনতে শুরু করেছে যেন টাকার দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরকদের ক্ষতি না হয়।
ব্যবসায়িক খাতের দুর্বল অবস্থার কারণে ডলারের চাহিদা কমে গিয়েছে, অন্যদিকে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এই অতিরিক্ত ডলার সরবরাহ তৈরি হয়েছে।
মে মাসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে আয় হয় সাত দশমিক এক বিলিয়ন ডলার, অথচ আমদানির খরচ ছিল পাঁচ দশমিক চার বিলিয়ন, ফলে অতিরিক্ত ছিল এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে,এই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত আয় আট বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে চায়, এক বছরে ৩০ বিলিয়ন এবং পরের বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায়।
তবে এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরকরা কম টাকায় ডলার পাচ্ছেন, কারণ ব্যাংকগুলো সস্তায় কিনে বাংলাদেশ ব্যাংকে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করছে।
অপরদিকে, ব্যাংকগুলো এখন টাকার সংকটে আছে, কারণ তারা সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বেশি বিনিয়োগ করেছে।
ডলার রেট কমলেও নগদ মার্কেটে এখনও উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে, কারণ সেখানে সরবরাহ কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিক অস্থিরতা কেটে গেলে বিনিয়োগ ও ডলার চাহিদা আবার বাড়বে, তখন এই রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, টাকার এই দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই নির্ভর ভিডিওর ব্যবহার উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন নির্বাচনী প্রচারে এআই-জেনারেটেড ভিডিও ব্যবহার করছে, যা অনেক সময় সত্য-মিথ্যার সীমা মুছে দিচ্ছে।
ডিসমিসল্যাব নামে একটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াতসহ বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন ও এমনকি আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠদের তৈরি প্রায় ৭০টি এআই ভিডিও দুই দশমিক তিন কোটির বেশি বার দেখা হয়েছে।
এসব ভিডিওতে "সাধারণ" মানুষের মুখে ভুয়া সাক্ষাৎকারে দলীয় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এআই টুল যেমনে হেই জেন, ডিপ ফ্যাক্ট ল্যাব ব্যবহার করে এখন সহজেই কেউ একজনের চেহারা ও কণ্ঠ নকল করে বিভ্রান্তিকর ভিডিও তৈরি করতে পারে।
এমনকি ড. ইউনুস, শেখ হাসিনা বা তারেক রহমানকেও টার্গেট করে মিথ্যা বার্তা ছড়ানো হয়েছে।
ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে, যার বড় কারণ এই মানুষদের বেশিরভাগের ডিজিটাল শিক্ষা খুবই কম, মাত্র ১০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই যদি এআই ভিডিও নিয়ে আইন বা নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না আসে, তাহলে নির্বাচনের আগে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ রাজনৈতিক এআই ভিডিও নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করেছে।
বাংলাদেশেও এমন আইন ও ভিডিওতে এআই দ্বারা তৈরি" লেবেল যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক ও গবেষকরা।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে মামলার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সরকার আইনি সহায়তা আইন সংশোধন করেছে।
এখন থেকে নির্দিষ্ট ৯টি আইনের অধীনে মামলা দায়েরের আগে বাধ্যতামূলকভাবে সালিশি বা মধ্যস্থতার চেষ্টা করতে হবে। এই প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে তবেই আদালতে মামলা গ্রহণযোগ্য হবে।
এই আইনটি পারিবারিক বিরোধ (তালাক, খোরপোষ, সন্তানের হেফাজত), জমি ও দানাপত্র সংক্রান্ত বিরোধ, পাঁচ লাখ টাকার কম মূল্যের চেক ডিজঅনার, যৌতুক, নারী নির্যাতন, বাড়ি ভাড়া ও পিতা-মাতার খোরপোষ সংক্রান্ত বিষয়গুলো কভার করছে।
আইন বিশেষজ্ঞ আসিফ নজরুল জানান, প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ মামলা হয়, কিন্তু মাত্র ৩৫ হাজার মামলা সরকারিভাবে সালিশির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।
অথচ সালিশিতে সময় কম লাগে এবং অধিকাংশ মানুষ এতে সন্তুষ্ট। তাই তিনি বাধ্যতামূলক সালিশির পক্ষে।
অনেকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, কিছু বিষয়ে যেমন যৌতুক নির্যাতন বা জটিল জমি ভাগের মতো বিষয়ে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করাকে সমালোচনা করছেন।
এতে ভুক্তভোগীরা চাপের মুখে পড়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেলা পর্যায়ের আইনি সহায়তা অফিসে প্রশিক্ষিত লোকবল ও কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন অনেকেই।
তাদের মতে, যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তবে ১০ থেকে ২০ শতাংশ মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে তা ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় এক বড় অগ্রগতি হবে।