মানবাধিকার ইস্যুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে যে দৃষ্টিতে দেখে, সে দৃষ্টিতেই নিজ দেশে তাকাতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি আজ (রোববার) দুপুরে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এমন কিছু আমাদের জানা নেই। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত করবো কেন?

কাদের বলেন, তুমি আমার মানবাধিকার, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করবে, আর এখন তোমার মানবাধিকার নিয়ে বলতে পারবো না? যুক্তরাষ্ট্রে ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তা দমন করা হচ্ছে অত্যন্ত নির্দয়ভাবে। ২৫০০ গ্রেফতার হয়েছে। আর আমাদের দেশে বিরোধী দল যখন অগ্নিসন্ত্রাস করে, পুলিশের ওপর হামলা করে, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর চালায়, সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ করে তখন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশে মানবাধিকার যে দৃষ্টিতে দেখবে, তাদের দেশে সেভাবে দেখবে না কেন?

এখন সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ আছে কি না, চাপ কারা দিচ্ছে এবং এ নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাপ আছে, তবে সেটা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ। যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট, এই সংকট বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব প্রতিক্রিয়া আমাদের এখানেও আসে। আমদানি রপ্তানি, জ্বালানি, মুদ্রাস্ফীতি, ডলার সংকট- এসব অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য বিষয়। এগুলো অ্যাফেক্টেড হলে চাপ পড়ে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। তবে অন্য দলগুলো চাইলে নিজেদের দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মতবিরোধ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

এসইউজে/এমএইচআর/জেআইএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews