আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, দেশজুড়ে পরিচিত সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং গৃহিনী কারও ফেসবুক আইডি হ্যাক করার বাকি নেই। গড়ে তুলেছেন ফেসবুক আইডি হ্যাক করার বিশাল সাম্রাজ্য।
অনেককেই ব্ল্যাকমেইল করে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি করে পাঠিয়ে কারও ভেঙ্গেছেন সংসার। কখনও আবার র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষকে হুমকি, ধামকি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এবার মূল টার্গেটে রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীরা। ভয়ংকর এ সাইবার অপরাধী চক্রের সব তথ্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে র্যাব।
র্যাবের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর অপরাধের সবচিত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তিতারকোণা মামদনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইজাজুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান নবিনকে (২৮)। তার বিরুদ্ধে র্যাব-৯ সিলেটের এসআই পঙ্কজ বাদি হয়ে সাইবার অপরাধের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারের সাথে তার অপরাধের ১৩৯ পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট জমা দেয়া হয়েছে। আর সাইবার অপরাধীদের তথ্যের ১২৬৫ পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট সংগ্রহ করেছে র্যাব। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টায় তাকে বাহুবল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে তাকে আটক করে র্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৯ সিলেটের অপারেশন অফিসার শামীম আনোয়ার জানান, আটক মাহফুজের বিশাল একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। সে সেলিব্রেটি থেকে গৃহিনী কারও ফেসবুক হ্যাক করার বাকি রাখেনি। ফেসবুক হ্যাক করে টাকা পয়সা চায়। বলে টাকা দিলে আইডি ফিরিয়ে দেব, অন্যথায় এটি ডিসেবল করে দেব।
তিনি বলেন, মেয়েদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পর সে ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করে তা এডিট করে ওই আইডির মালিকের কাছে পাঠিয়ে দিত। এরপর মেয়েদের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল আচরণ করতো। এ অপরাধী অসংখ্য মানুষের সংসার ভেঙ্গেছে। দেখে বুঝার উপায় নেই, সে এমন একজন অপরাধী। তার বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা আরও অনেক বেশি দক্ষ, সেগুলোর অনুসন্ধান চলছে।
খুব দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে শামীম আনোয়ার আশা প্রকাশ করেন।