ফ্রাঞ্চাইজি বা ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়ে গড়িমসি নতুন কিছু নয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা বিরল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কিছুই ঘটেছে ওমানে।
প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানির কোনো অর্থ পায়নি ওমানের ক্রিকেটাররা। আইসিসি থেকে অর্থ পরিশোধ হলেও, তা বুঝে পাননি কেশপ প্রজাপতি, ফায়াজ বাটরা।
টাকা না দিয়ে উল্টো দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদের। এমনকি দেশত্যাগেও নাকি বাধ্য করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন ক্যারিয়ার নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গেছে বিশ্বকাপে খেলা ক্রিকেটাররা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে রেকর্ড ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজমানি দিয়েছে আইসিসি। যেখানে ওমান পায় ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শেষ হবার ২১ দিনের মাঝে স্কোয়াডের সদস্যের প্রাইজমানির অর্থ ভাগ করে দিতে হবে। কিন্তু গত ১১ মাসে ক্রিকেটারদের কিছুই দেয়নি ওমান ক্রিকেট।
এই প্রসঙ্গে ক্রিকেট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ওপেনার কেশপ প্রজাপতি বলেন, ‘আমাদের জীবন সম্পূর্ণভাবে ওলট-পালট হয়ে গেছে; আমরা দলে জায়গা হারিয়েছি, চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
শুধু প্রজাপতি একাই নন, গত বছরের বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারদের আর কেউই এখন ওমান দলে নেই। প্রজাপতি, ফায়াজসহ বেশ কয়েকজন ওমান ছেড়ে জীবিকার খোঁজে অন্য দেশে চলে গেছেন।
এর আগে বারবার চাওয়া সত্ত্বেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় ঘরের মাঠে ইমার্জিং এশিয়া কাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন ওমানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না করে উল্টো নতুন ১৫ জনকে মাঠে নামানোর হুমকি দেয় বোর্ড।
তবু ক্রিকেটাররা খেলতে রাজি হননি। তাই প্রাথমিকভাবে ঘোষিত স্কোয়াডের মাত্র পাঁচজনকে রেখে বাকিসব নতুন ক্রিকেটার নিয়ে টুর্নামেন্টটি খেলে ওমান।