সাধারণ চোখেই ট্রুডোকে দেখে মনে হচ্ছে, হরদীপ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি ভারতের সঙ্গে একাকী লড়াই করছেন। ফাইভ আইস বা পঞ্চনেত্র নামের একটি গোয়েন্দা তথ্য আদান–প্রদানকারী নেটওয়ার্ক থেকে তিনি হরদীপ হত্যায় ভারতের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন। এই নেটওয়ার্কে কানাডাসহ পাঁচটি দেশ রয়েছে। তারা সবাই অটোয়ার মিত্র। তবে হরদীপ হত্যা ও ভারত ইস্যুতে তারা সাদামাটা বিবৃতি দিয়েই থেমে আছে। কানাডার সমর্থনে তেমন সোচ্চার হতে দেখা যায়নি কাউকে।

বলা চলে যুক্তরাজ্যের কথাই। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, কানাডা যা বলেছে, তা তাঁর দেশ খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। একই সুরে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, কানাডার অভিযোগ নিয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তবে সবচেয়ে হতাশাজনক হলো কানাডার প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ। অটোয়ার পক্ষে ওয়াশিংটনকে জোরালোভাবে গলা তুলতে দেখা যায়নি। চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ভারত প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে হরদীপ ইস্যুতে নিন্দা জানাতে নয়। বরং, নতুন একটি বাণিজ্যিক পথ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতার প্রশংসা করতে।

এসবের জেরে খবর বেরিয়েছে যে কানাডা–যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এমন খবর আবার মানতে নারাজ বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেন, হরদীপ ইস্যু নিয়ে কানাডার সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ভারত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নানা বিবৃতিতে নরম সুরে কথা বলতে দেখা গেছে। বেশ কিছু বিবৃতিতে পশ্চিমা বিশ্বে ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews