নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তার নিজ হাতে গড়া উপজেলার রোয়াইবাড়িতে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে শনিবার (১৯ জুলাই) দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন, শোক র‌্যালি, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ছবি অঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, কোরআন খতম ও আলোচনা সভা।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, চলতি বছর এই বিদ্যাপীঠের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে।

হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক আলপনা বেগম বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমাদের গর্ব, এই দেশের অহঙ্কার। তার জনপ্রিয়তা শুধু দেশেই নয় পশ্চিমবঙ্গেও তুমুল জনপ্রিয়। এমন ক্ষণজন্মা গুণী লেখক শতাব্দীতে জন্ম নেয়াও বিরল। আমরা আজও তাকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে বা মূল্যায়ন করতে পারিনি। এ আমাদের ব্যর্থতা। আমরা হিমু পাঠক আড্ডার মাধ্যমে সীমিত পর্যায়ে তুলে ধরতে চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।’

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। কেন্দুয়া কুতবপুর তার গ্রামের বাড়ি। তিনি একাধারে ছোট গল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন।

হুমায়ুন আহমেদের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। ১৯ জুলাই দেশে আনার পর ২৪ জুলাই তার হাতে গড়া গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews