গাছ ভালো রাখতে চায় যত্ন আর পুষ্টি। কিন্তু প্রতিদিন বাজার থেকে দামি সার এনে ব্যবহার করা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি ঝামেলারও। অথচ আপনার রান্নাঘরেই আছে এমন কিছু উপাদান—যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে হতে পারে চমৎকার জৈব সার। পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যকর এবং একদম সহজ পদ্ধতিতে বানানো যায় এসব সার। গাছকে সবুজ, সতেজ আর ফলনশীল করতে কোন কোন সার সহজে নিজেই তৈরি করবেন জেনে নিন।
১. কলার খোসা
কলার খোসা পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস। এই তিনটি উপাদান গাছের ফুল ও ফল গজাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। খোসাগুলো কেটে কয়েক দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি গাছের গোড়ায় দিলে ভালো ফল মেলে।
২. কফির গুঁড়া
আপনি যদি কফিপ্রেমী হন, তাহলে আপনার গাছও উপকৃত হবে। ব্যবহৃত কফি গুঁড়োতে থাকে প্রচুর নাইট্রোজেন—যা পাতার সবুজভাব বাড়ায় এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি সরাসরি মাটিতে মিশিয়ে বা কম্পোস্টে ব্যবহার করা যায়।
৩. ডিমের খোসা
ডিমের খোসা হলো ক্যালসিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। এটি গাছের কোষকে শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। খোসাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
৪. ইপসম লবণ
ইপসম সল্টে থাকে ম্যাগনেশিয়াম ও সালফার, যা গাছের ফটোসিন্থেসিস এবং পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। প্রতি লিটার পানিতে এক চা চামচ ইপসম সল্ট মিশিয়ে সেই পানি মাসে একবার গাছে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫. রান্নার পানির পুনঃব্যবহার
যে পানিতে আপনি ডাল, চাল বা সবজি সেদ্ধ করেন, সেটিতে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। সেই পানি ঠান্ডা করে গাছে দিলে এটি প্রাকৃতিক তরল সার হিসেবে কাজ করে।
৬. সবজি বা ফলের খোসা
সবজি বা ফলের খোসা পচিয়ে কম্পোস্ট করলে দারুণ জৈব সার তৈরি হয়। এতে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল যা গাছের গোড়ায় শক্তি জোগায়।
৭. চাল ধোয়া পানি
চাল ধোয়ার প্রথম পানিতে থাকে ভিটামিন বি ও অন্যান্য খনিজ উপাদান, যা গাছের মাটির গঠন উন্নত করে এবং গাছকে সুস্থ রাখে।
৮. চা পাতা (ব্যবহৃত)
চা পাতার মধ্যে রয়েছে ট্যানিন ও নাইট্রোজেন, যা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যবহৃত চা পাতা ঠান্ডা করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন।