সিরিয়ার আরবিন এলাকায় একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থলে থাকা নারী ও শিশুদের ওপর গত রাতে বিমান হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। ওই হামলায় অনেক মানুষের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রাতের ওই আক্রমণে সিরিয়া নাপাম গ্যাস ব্যবহার করেছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। ‘সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স’ নামের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত সংস্থার কর্মীদের সূত্রে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। আক্রমণের ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই পূর্বনির্ধারিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর হয়েছে।
পূর্ব ঘৌটার ইজ্জেত মুসলিমানি জানিয়েছেন, আরবিনে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থলগুলোর একটিকে লক্ষ্য চালানো বিমান হামলায় ১১৭ থেকে ১২৫ জন হতাহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যারা বেঁচে আছে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জরুরি চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। বিদ্রোহীঅধ্যুষিত পূর্ব ঘৌটায় কাজ করা আরেকজন উদ্ধারকর্মী জাহির হাসৌন আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন, ওই বিমান হামলার সময়ে আসাদ বাহিনী নাপাম গ্যাস ব্যবহার করেছে। নাপাম গ্যাস এমন একটি দাহ্য পদার্থ যা ব্যবহার করলে আগুনে পোড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। পদার্থটি চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকে এবং আগুনকে আরও বেশি ক্ষতিসাধন করার সুযোগ করে দেয়।
এর আগে আরবিন আক্রমণে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী নাপাম ছাড়াও ক্লোরিন গ্যাস ও ফসফরাস ব্যবহার করেছিল। পূর্ব ঘৌটার আরবিনে আসাদ বাহিনী ওই আক্রমণ করেছে বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। অথচ সামান্য সময় পরেই বিদ্রোহীদের সমঝোতার আওতায় পূর্ব ঘৌটা ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হয়েই ছিল। সিরিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেল সানা জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সমঝোতায় রাজি হওয়া বিদ্রোহীদের কয়েক ট্রাক ভর্তি করে পূর্ব ঘৌটার হারাস্তা থেকে বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তত্ত্বাবধান করেছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যাওয়া একটি প্রতিনিধি দল।