চালু হওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যেই গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের চাইল্ড অনলাইন সেফটি কর্মসূচি দুই লাখ শিশুর কাছে পৌঁছে গেছে। এ বছরের কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের চার লাখ শিশু-কিশোর এবং ৫০ হাজার অভিভাবক ও শিক্ষককে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন করে তোলা।
‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’ নামের দেশব্যাপী এই কর্মসূচির অধীনে স্কুলগুলোতে নিরাপদে ডিজিটাল শিক্ষা লাভের উপায় নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া চাইল্ড হেল্পলাইনে (১০৯৮) নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই হেল্পলাইনে ফোন করে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা এসংক্রান্ত পরামর্শ ও সহায়তা পেতে পারেন।
এত কম সময়ে কর্মসূচিটি অর্ধেক পথ অতিক্রম করায় সন্তোষ প্রকাশ করে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ‘দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন মেনে নিতে হয়। তরুণ প্রজন্মকে নতুন বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলা শেখানোটা আমাদের দায়িত্ব এবং আমাদের চাইল্ড অনলাইন সেফটি কর্মসূচি সে রকম একটি উদ্যোগ। আমরা যদি শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে তারা আরো সৃষ্টিশীলভাবে তা ব্যবহার এবং এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। আমি এখন পর্যন্ত এর অগ্রগতি দেখে আনন্দিত।’
গ্রামীণফোন ২০১৪ সাল থেকে শিশুদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং গত বছর পর্যন্ত দেশব্যাপী এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ অভিভাবকদের জন্য দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহার ও সচেতনতা সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এই উদ্যোগ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১০ অসাম্য হ্রাসের প্রতি গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।