বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে। আবার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিকভাবে যেসব সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, সেগুলো কাজে লাগাতে করণীয় নির্ধারণেরও কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। বৈঠকটি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। একনেকে উত্থাপিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ও প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে– শেষ পর্যায়ে থাকা প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন এবং সব ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের কাজ করা। এসব ভবন নির্মাণে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা এবং সোলার সিস্টেম রাখা। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বন্যা এবং নদীভাঙন রোধে বিশেষ নজর দিতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৬ কোটি লাখ টাকা। এ অর্থের ৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব এবং ৪৮৬ কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো– মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পে বাড়তি ৯৩ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন। কাশীনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা।