ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ‘সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর এই যুদ্ধের’ পরাজয় নয়াদিল্লি কখনো ভুলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।

তিনি বলেন, ‘ভারত সাম্প্রতিক ‘সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর এই যুদ্ধের’ পরাজয় কখনো ভুলবে না। এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে প্রচলিত যুদ্ধে পাকিস্তান পিছিয়ে নেই। আমাদের ঐক্য, সাহস ও বিশ্বাস আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিজয়ের পথে নিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, একদিন অধিকৃত কাশ্মিরও আমাদের অংশ হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত সঙ্ঘাতে শহীদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আমির মুকাম উপস্থিত ছিলেন। তারা সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের সাহস ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পরিমিত কিন্তু শক্ত প্রতিক্রিয়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। এতে বিশ্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বুঝতে পেরেছে।

শাহবাজ শরীফ ভারতের কথিত ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ পেহেলগাম অভিযানের পর সঙ্ঘাতের কথা তুলে ধরেন এবং আজাদ কাশ্মিরের সেনা ও নাগরিকদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পেহেলগাম ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগ শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা ছিল। এর জবাবে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে বাহাওয়ালপুর ও আজাদ কাশ্মিরে হামলা চালায়। এতে ৩৫ জন শহীদ ও ৫৫ জন আহত হন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাই, যার মধ্যে রাফায়েল ও মিগ-২৯ ছিল। আল-ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমরা সম্মানের সাথে প্রতিরক্ষা করি।’ সঙ্ঘাতের সময় তিনি ভোরে ফিল্ড মার্শাল ও সিওএএস আসিম মুনিরের ফোন পান। তাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নিশ্চিত করা হয় এবং প্রতিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর। আমরা বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই প্রতিরক্ষা করি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সিওএএস আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয় এবং ১০ মে’র মধ্যে ভারত যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও সৈনিকদের সাহস অতীতের ক্ষতের প্রতিশোধ নিয়েছে, যার মধ্যে ১৯৭১ সালের স্মৃতিও আছে।’ তিনি স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে শহীদ পরিবার পাবে ১ কোটি টাকা এবং আহতরা পাবে ২-৫ কোটি টাকা। সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ পরিবার পাবে ১৯-৪.২০ কোটি টাকার গৃহনির্মাণ সহায়তা, অবসর পর্যন্ত পুরো বেতন-ভাতা, সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা এবং কন্যাদের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বিবাহ অনুদান।

তিনি বলেন, কোনো অর্থই প্রাণের বিনিময় হতে পারে না। তবে এই পরিবারগুলোকে মর্যাদার সাথে সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। তাদের প্রতিদান আল্লাহর কাছে। জাতি চিরকাল তাদের ঋণী থাকবে।’

শেষে প্রধানমন্ত্রী কাশ্মিরের প্রতি পাকিস্তানের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তার ভাই নওয়াজ শরীফ ও সব রাজনৈতিক দল কাশ্মিরের আত্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলে আসছে।

সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews