গত ২৬ অক্টোবর ইরানের অভ্যন্তরে প্রতিশোধমূল হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। এ হামলায় চার সেনাসহ এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান।
এদিকে ইংরেজি ভাষার মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় ইরানি জনগণকে সম্বোধন করা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলে ফের আক্রমণের চেষ্টা করলে ইরানের অর্থনীতি ‘পঙ্গু’ করে দেওয়া হবে।
তিনি ইরানের জনগণের উদ্দেশে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ছাড়া জীবন কতটা উন্নত হবে তা কল্পনা করতে বলেছেন। নেতানিয়াহুর অভিযোগ, ইরানের শাসকগোষ্ঠী সাধারণ জনগণকে বিপদে ফেলছে।
কয়েক মাসের মধ্যে ইরানি জনগণের উদ্দেশে এটি নেতানিয়াহুর দ্বিতীয় কোনো বক্তব্য। এর আগে ১ অক্টোবর ইরানের হামলার দুদিন আগে প্রথম বক্তব্য দেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে, আমি সরাসরি ইরানের জনগণের সাথে কথা বলেছিলাম। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ, খোদ ইরানের কোটি কোটি মানুষ সেই ভিডিও দেখেছে। তারা এটি দেখার পরে, অনেক ইরানি ইসরাইলের কাছে পৌঁছেছিল। তাই আজ, আমি আবারো ইরানের জনগণকে সম্বোধন করতে চাই’।
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে সম্ভাব্য হামলা হলে ইরানের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে বলছেন নেতানিয়াহু। এতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে। দারিদ্রতা বাড়বে। তাই ইরানের জনগণ যেন ইসরাইলে হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। নেতানিয়াহুর দাবি, ১ অক্টোবর ইসরাইলের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেহরানের ২.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে তেহরান। এই অর্থ ইরানের সাধারণ প্রতিটি জনগণ এবং তাদের পরিাবারের।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই আপনি কল্পনা করুন, শুধু কল্পনা করুন, ইরান স্বাধীন হলে আপনার জীবন কীভাবে ভিন্ন হতে পারে। আপনি ভয় না করে আপনার মনের কথা বলতে পারেন। আপনাকে এভিন কারাগারে পাঠানো হবে কিনা, তা ভেবে আপনি রসিকতা করতে পারেন’।
নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, ‘কীভাবে ধর্মান্ধ ইরানি সরকার তার নিজের জনগণের উন্নতি না করে ইসরাইলকে আক্রমণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যয় করে’।
সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আবার ইসরাইলে আক্রমণ হওয়া মানে, এটি আপনাদের আরও অনেক বিলিয়ন ডলার লুট করবে’।
নেতানিয়াহুর এই সতর্কতার অর্থ, ইরান তৃতীয়বারের মতো আক্রমণ করলে, ইসরাইল ইরানের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে চাইবে।