ক্লাস না করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেঁতের আঘাতে ৮ জন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। শনিবার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের কেদারপুর উচ্চ বিদ্যায়য়ের প্রধান শিক্ষেকের কক্ষে এই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতরা হলেন, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মেহেদি হাচান (১৪), সায়মন ফকির (১৩), মো. ওমর ফারুক (১৩), নুরে আলম (১৩), মো. আলম (১৩), পাভেল (১২), মিরাজ দেওয়ান (১৩) ও প্রিন্স তামিম (১৩)।
জানা যায়, গত বুধবার যে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি তাদের শনিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষেকের কক্ষে ডেকে নেন। ডেকে নিয়ে কেদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরু সাইফ (পলাশ) শিক্ষার্থদেরকে অমানবিকভাবে বেঁতের আঘাত করেন। তার বেঁতের আঘাতে ৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে অভিবাবকরা নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কেদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরু সাইফ (পলাশ) বলেন, ওরা বিদ্যালয়ে ঠিক মত আসে না। এজন্য আমি শাসন করেছি। এক দুইজন মনে হয় একটু বেশি আঘাত পেয়েছে। আমিতো পিয়ন দিয়ে আঘাতের স্থানে বরফ দিয়েছি।
কেদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লিটন লস্কর বলেন, স্কুলে না আসায় ৮জন ছাত্রের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে পলাশ। ব্যাপারটি আমরা দেখছি।
নড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) আবুবক্কর বলেন, কেদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মো. ছগির হোসেন/এআরএস