একটি মিলিটারি হেলিকপ্টার চালাতে পারে আলিয়াস। সে অন্য কোনো এয়ারক্রাফটে চড়ে সেটাকেও ওড়াতে পারে। আর আলিয়াস কোনো মানুষ নয়।

স্বচালিত গাড়ি এ সময়ের শিরোনাম হলেও ডারপা'র আলিয়াস প্রোগ্রাম দারুণ এক কাহিনী সৃষ্টি করে চলেছে। সে একজন 'ডিজিটাল পাইলট'।

ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি'র (ডারপা) ব্রেইনচাইল্ড আলিয়াস। আলিয়াসকে কোনো এয়ারক্রাফটে নামিয়ে দিলে সে অদৃশ্য হয়ে যায়। সে স্বাচালিত কো-পাইলট হিসাবে অনায়াসে কাজ করতে পারে।

আলিয়াসের এতই গুণ যে সে মোটামুটি সব ধরনের মিলিটারি এয়াক্রাফট চালাতে সক্ষম। এমনকি বাণিজ্যিক জেটও চালাতে পারে যাতে করে মানুষ পারিবারিক ভ্রমণে বের হয়।

বর্তমানে দুটো দল ডারপা'র সঙ্গে কাজ করছে আলিয়াসকে বাস্তবায়িত করার জন্য। কাজ করছে অরোরা ফ্লাইট সায়েন্সেস এবং লকহেড মার্টিন সিকোরস্কি। যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান আলিয়াস বানানোর অনুমতি পাবে।

আলিয়াস আসলে কি? : এএলআইএএস আসলে এয়ারক্রু লেবার ইন-ককপিট অটোমেশন সিস্টেম বা আলিয়াস। অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় কিটের মতোই এটা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বয়। ডিজিটাল কো-পাইলটের বিষয়টিকে বিস্ময়কর পর্যায়ে নিয়ে যাবে এই প্রযুক্তি।

অরোরা ফ্লাইট সায়েন্সেস একটি রোবোটিক হাত নিয়ে কাজ করছে। একটি সেসনা বিমান চালনার ক্ষেত্রে সফল পরীক্ষা দিয়েছে তারা। এ ছাড়া লকহেড মার্টিন সিকোরস্কিও তাদের আলিয়াস নিয়ে নানা পরীক্ষা চালাচ্ছে। হেলিকপ্টার এবং বিমান চালানোর ক্ষেত্রেও সফল হয়েছে তারা।

আলিয়াস মূলত পাখা ঘোরে এমন যান কিংবা পাখাবিহীন বিমান চালাতে সক্ষম।

কিভাবে কাজ করে? : উড়োজাহাজকে ওড়ানো থেকে শুরু করে তাকে গন্তব্য নামানো পর্যন্ত গোটা একটি মিশন পরিচালিত করে আলিয়াস। ফ্লাইটে কোনো সিস্টেম বিপর্যয় ঘটলেও তা সামলে নিতে কাজ করে আলিয়াস। এ ছাড়া এয়াক্রাফটের স্বাস্থ্যের দেখাশোনা তেকে শুরু করে অন্যান্য কাজও করবে।

ডারপা'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. ড্যানিয়েল প্যাট বলেন, এয়ারক্রাফটকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মস্তিষ্ক আলিয়াসের রয়েছে।

এর কার্যক্ষমতা : আলিয়াসের মস্তিষ্ক জানে এয়ারক্রাফট চালানোর পদ্ধতি। ছোট একটি জায়গায় যানটিকে কিভাবে নিরাপদে নামানো যাবে তার হিসাব-নিকাশ তার মাথায় রয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে মানুষ পাইলটদের টেক্কা দেবে।

ডিজিটাল কো-পাইলটের দরকার কেন? : আলিয়াস হবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন। এটা বিমানে মানুষের ভূমিকাকে বদলে দেবে। এটা আরো বেশি নিরাপত্তা দেবে মানুষকে। পাইলটদের প্রতিটা বোতামের কার্যকারিতা মুখস্ত রাখতে হবে না। কাজ করে দেবে আলিয়াস। পাইলটের ভুল শুধরে দেবে আলিয়াস। তা ছাড়া আধুনিক এয়ারক্রাফটগুলোতে এমনিতেই অনেক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে। পাইলটদের প্রচুর পরিমাণে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হয়। এটা সহজ কাজ নয়। এ ক্ষেত্রে আলিয়াসকে দরকার।

কি ঘটতে চলেছে? : ডারপা আলিয়াসকে বাস্তবায়িত করবে। এর ভয়েস-রিকগনিশন পরীক্ষা করা হবে। ইউএস মিলিটারিতে কাজ শুরু করবে সে। এটা এতটাই স্মার্ট যে, হয়তো সিভিলিয়ান এয়ারক্রাফটের দায়িত্বও তার ওপর বর্তাবে। সূত্র : ফক্স নিউজ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews