অন্যদিকে মাস্কের সব ব্যবসা কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এই উদ্বেগও দানা বাঁধছে যে সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত তিনি কীভাবে সামাল দেবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় বলেছেন, মাস্ক ও তাঁর আরেক ধনী সহযোগী বিবেক রামাস্বামী নতুন বিভাগে যৌথ নেতৃত্ব দেবেন। এই দুজন ‘সরকারের বাইরে থেকে উপদেশ ও পথনির্দেশ দেবেন’।
একজন রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন করা এবং তাঁকে জিততে সাহায্য করা ইলন মাস্কের জন্য একটি রাজনৈতিক বিবর্তন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম গ্রহণকারী ৫৩ বছর বয়স্ক এই উদ্যোক্তা ছিলেন হাঁটি হাঁটি পা পা করা ইলেকট্রিক গাড়িশিল্পের মুখচ্ছবি। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি প্রায়ই সোচ্চার হয়েছেন।
২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসেন, তখন প্রতিবাদ জানিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্টের দুটি পরামর্শক পরিষদ থেকে পদত্যাগও করেছিলেন। তবে ওই ঘটনার কয়েক বছর পর এখন তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেলিব্রিটি সমর্থনকারী। তাঁকে ও তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ প্রচারণাকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে মাস্ক কাজ করেছেন।