এই চিকিৎসক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে সময় সময়ে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস রাখা যাচ্ছে না। শরীরে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা (অক্সিজেন স্যাচুরেশন) কখনো কখনো কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অবশ্য অক্সিজেন দিলে মাত্রা ৯৯ উঠছে। তাঁর মানে তিনি অক্সিজেন পুরোপুরি নিতে পারছেন। এটা ভালো লক্ষণ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, খালেদা জিয়ার করোনা–পরবর্তী বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, ফুসফুসে তরল জমা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকা। এর বাইরে গত বুধবার তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড দেখেছে, খালেদা জিয়ার কিডনিতে বিষাক্ত রক্ত জমছে। এ নিয়ে চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এভার কেয়ার হাসপাতালে দশ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বোর্ডের সদস্যরা একমত হয়েছেন যে, এই মুহূর্তে কিডনিতে রক্ত জমার ঝুঁকি কমানোর জন্য সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার, যেন কিডনি আরও ভালোভাবে কাজ করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে পারে।
এদিকে সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এই চিকিৎসক বলেন, এখনো সরকার তাঁকে (খালেদা জিয়া) বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। অনুমতি পেলে তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা আগের চিকিৎসাপত্র অব্যাহত রেখেছেন।