সাকিব আল হাসান। ছবি-সংগৃহীত
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহ আউট হন ১৯৩ রানে। এর ৪৬ রানের মধ্যে আরো তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর পর আউট হয়েছেন সৌম্য। দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে এসে সুবিধা করতে পারেননি লিটনও। আর শেষ পর্যন্ত ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৫ রান করা সাকিবও আউট হয়ে গেছেন। ৪৮ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫০ রান।
মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে নামার পরপরই বড় ধাক্কায় খায় স্বাগতিকরা। খেলার তৃতীয় ওভারেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান ওপেনার লিটন দাস।
পেসার ওশান টমাসের একটি ইয়র্কার ফ্লিক করতে গিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারেননি লিটন। বল তার ডান পায়ের গোড়ালির উপরে লাগে। এরপর কোনোভাবে এক রান নিয়ে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে শুয়ে পড়েন তিনি। ফিজিও মাঠে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি লিটন। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায়ই স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন ইমরুল কায়েস। তিনি ছয় বল মোকাবেলা করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম দলকে বড় স্কোর গড়ার দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি।
তবে হাফসেঞ্চুরির পরপরই দলীয় ১২৫ রানে দেবেন্দ্র বিষুর বলে কেমার রোচের হাতে ক্যাচ দিয়ে তামিম ফিরে যান। দলীয় স্কোরে আর মাত্র ৭ রান যোগ হতেই ওশান টমাসের বলে উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে ৮০ বল থেকে ৬২ রান করেন তামিম।
দুই সেট ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। সেই জুটি ভেঙে দিলেন রোভম্যান পাওয়েল। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩০ রান। এরপর একে ফিরে যান সৌম্য, লিটন ও সাকিব।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে জয় পেয়েছে। তাই এই ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের।
ইত্তেফাক/কেআই