নগদের সিইও ‘জালিয়াতি’ করেছেন, পদে থাকতে পারেন না: গভর্নর

আদালতের রায়ে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি নগদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব নেওয়া মো. সাফায়েত আলম ‘জালিয়াতি করেছেন’ অভিযোগ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তার (সাফায়েত) ওই পদে থাকার অধিকার নেই।

তিনি বলেন, ”অবশ্যই উনি (নগদের সিইও) জালিয়াতি করেছেন। অবশ্যই উনি দোষী এবং ওনার এই পদ পাওয়ার কোনো অধিকার নেই। উনি দায়িত্ব নিতে পারেন না।”

রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক যার নামে মামলা করেছে তাকেই আবার নগদের সিইও করা হয়েছে, এক সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের উত্তরে গভর্নর বলেন, “সরকার তো সেটা মানবে না। এটা তো সরকারের পজিশন (অবস্থান) না। সরকারের পজিশন বাংলাদেশ ব্যাংক যেটা বলেছে সেটাই। তার (সাফায়েত আলমের) কোনো অধিকার নেই সিইও পদে থাকার।“

নগদ গত সপ্তাহে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সিইও হিসেবে যোগ দেন সাফায়েত আলম।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২১ অগাস্ট নগদের আগের পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামানকে প্রশাসক করা হয়।

তিনি প্রশাসক থাকা অবস্থায় নগদে অনিয়মের নানা অভিযোগের মধ্যে কোম্পানিটিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সেই অভিযানের দিন বদিউজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

নগদের সিইও মো. সাফায়েত আলম।

এর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে সরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নতুন প্রশাসককে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরপর প্রশাসক বসানো নিয়ে উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে নামে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী কোম্পানিটি।

ওই দিন শুনানির সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী উপস্থিত হননি। এর কারণ কী? এমন প্রশ্নে আহসান মনসুর বলেন, “কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে জানানো হয়নি এবং এটা হাতে লিখে করা হয়েছে। অরিজিনাল যে রেকর্ড আদালতে আছে এবং যেটা আমাদের দেওয়া হয়েছিল ও এজি অফিসকে দেওয়া হয়েছিল- সেটা এক নয়। ওখানে হাতে লেখা আছে। যেটা আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নেই এবং আমরাও পাইনি।”

নগদের নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাফায়েত আলম

এর আগে নগদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাও করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সাবেক সিইও তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর আহসান মনসুর বলেছিলেন, নগদে অনিয়ম ঘটেছে।

নগদ অতিরিক্ত ডিজিটাল মানি তৈরি করেছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এই এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়।

গভর্নরের অভিযোগের বিষয়ে নগদের সিইও সাফায়েতের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews