বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা
বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সভায় ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ইস্যুটি বহুল আলোচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা ঢালাওভাবে সব রপ্তানিকারকের উপর এ দায় না চাপানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে এ জন্য তাদের কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। আমদানিকৃত পণ্য এনবিআর অনুমোদিত নির্দিষ্ট গুদামে সংরক্ষণ করতে হয়। এবং ওই কাঁচামালে উত্পাদিত পণ্যের সবটুকুই রপ্তানি করতে হবে। এটি বন্ড সুবিধা নামে পরিচিত। আর ওই পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হলে, একই পণ্যের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মত সব ধরণের শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, রপ্তানিকারকদের একটি অংশ এ সুবিধায় পণ্য আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর ফলে শুল্ক-কর পরিশোধ করে কাঁচামাল বা পণ্য আমদানিকারকরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন।
এ সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছিলেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ।
গতকাল এফবিসিসি-আইয়ের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ওই সভায় সংগঠনের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের ইস্যুটিও আলোচনায় আসে। বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশেই শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায়।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে এ সুবিধা হারাতে পারে বাংলাদেশ। তবে বিশেষ কিছু শর্ত পরিপালন করলে জিএসপি প্লাসের আওতায় বাংলাদেশ এ সুবিধা পেতে পারে। বক্তারা এখন থেকেই এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি পণ্যের বহুমূখীকরণের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তারা। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।