মঙ্গলবার ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
চলতি মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইরানের সঙ্গে বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,“তিনি (ট্রাম্প) কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দেখা করতে প্রস্তুত।”
তার এ জবাবকে এ বিষয়ে করা ট্রাম্পের সোমবারের মন্তব্যেরই প্রতিধ্বনি বলছে রয়টার্স।
ইরান যেন তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়নে কোনোকিছুই করতে না পারে, সেজন্য দেশটির ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো ‘সর্বোচ্চ চাপ’ অব্যাহত রাখার পন্থা অবলম্বন করেছিল মার্কিন প্রশাসন।
এ চাপ দেয়ার কৌশল যে ব্যর্থ হয়েছে, তা ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করার ভেতরেই ফুটে উঠেছে বলে মঙ্গলবার টুইটারে রুহানির এক উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর বেরিয়ে গিয়ে ওয়াশিংটন শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে।
এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না বলে রুহানি আগেই শর্ত দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পূর্বশর্তের বিষয়ে হোয়াইট হাউস শুরু থেকেই দৃঢ় আপত্তি জানিয়ে আসছে।