ওষুধে মশা মরছে না, গবেষণা প্রয়োজন, বললেন চসিক মেয়র

ওষুধে মশা মরছে না, নিয়ন্ত্রণে গবেষণা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মশার ওষুধের প্রতি মশার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এখন ওষুধ ছিটিয়েও মশা মারা যাচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে গবেষণা প্রয়োজন।’ 

আজ বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। নগরীর লালদিঘীরপাড় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। মশার প্রকোপ কমাতে আগামী রোববার থেকে কার্যক্রম বাড়ানোরও ঘোষণা দেন তিনি। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে মশার উপদ্রব নিয়ে গত বুধবার সমকালে ‘কবে ঘুম ভাঙবে চসিকের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

সিটি মেয়র বলেন, ‘ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মশা দ্রুত বাড়ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে স্প্রেম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট লোকবল বাড়িয়ে মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ডেঙ্গু প্রকোপ প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, টনকে টন মশার ওষুধ মারলেই মশা কমবে, এটা ঠিক না। পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একসময়ে শহরে ব্যাঙ পাওয়া যেত যেটা মশার লার্ভা খেয়ে মশা কমাতে সহায়তা করত। বিভিন্ন ধরনের উপকারী কীট-পতঙ্গ পাওয়া যেত, যা পাওয়া যাচ্ছে না।’ 

মশার প্রকোপ কমাতে সিডিএর বাধ অপসারণ ও জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নালাগুলো পরিস্কার করছে। নালায় ডাবের খোসা থেকে লেপ-তোষক সব ফেলা হয়েছে, যা জলাবদ্ধতা তৈরি করে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। জনগণ সচেতন না হলে মশার প্রকোপ কমানো কঠিন হবে। সিডিএ ৩৬টা খালে যে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প করছে, সেগুলোতে বাধ দিতে হয়েছে। সিডিএ বর্ষার আগে বাধ ও খালের মাটি অপসারণ করলে জলাবদ্ধতা ও মশার প্রকোপ কমবে।’ 

অনেক রাস্তা ও গলিতে সড়কবাতি জ্বলে না জানিয়ে সিটি মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোন সড়কে বাতি না জ্বললে বিদ্যুৎ পরিদর্শকদের কাছে জানতে চাইবেন। কেউ সাড়া না দিলে লিখিত অভিযোগ দিবেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা অনেক সময় শোনা যায়, এক-দুই ঘণ্টা কাজ করে চলে যায়। এদের ব্যাপারেও অভিযোগ দিবেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করে দিব।’

ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের কারণে নগরবাসী খুশি হয়েছেন জানিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘গরীব হকারদের জন্য হলিডে মার্কেটের ব্যবস্থা করব। তবে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। অলিতে-গলিতে হকার বসিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করব। রেলওয়ে ও গণপূর্তর সঙ্গে আলোচনা করছি। পরিত্যক্ত ভূমিতে কেবল সপ্তাহে দু’দিন হলিডে মার্কেট চালু করা হবে।’  

সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী হুমায়ুন রশীদ, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরসহ সিটি করপোরেশনের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews