গত বছর দেশে অন্তত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এমন দ্বিগুণ সংখ্যায় ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেনি। দেশে এ এযাবৎকালের সর্বোচ্চ সংক্রমণের বছর ২০২৩ সালের মে মাসের চেয়ে জুনে এক লাফে পাঁচ গুণ ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। গত বছর ডেঙ্গু বেশি বাড়তে থাকে আগস্ট মাস থেকে। এখন চলতি বছরের জুন মাসে আবার ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
গত কয়েক মাসের দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি কি এটাই ইঙ্গিত করে যে এবারও ডেঙ্গু ব্যাপক হারে বাড়বে?
যুক্তরাজ্যের কেইল ইউনিভার্সিটির মশাবাহিত রোগের গবেষক ও বাংলাদেশি বিজ্ঞানী নাজমুল হায়দার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সংখ্যা বা প্রবণতা দেখে বলার উপায় নেই যে ডেঙ্গু বাড়বে। তবে এটা ঠিক যে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোধে আমরা আসলে কিছুই করিনি। তাই এবার যে বাড়বে না, তা–ও বলা যায় না।’
দিন দিন রোগী বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে তাদের করণীয় অনেকটাই কম বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রোগনিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু মশার উৎস বন্ধ না হলে রোগী বন্ধ হবে না। প্রজননক্ষেত্র বেড়ে যাবে। মশার প্রজননক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতে নেই। এটা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর কাজ।’