কোমর বা পিঠে ব্যথা (ব্যাকপেইন) আজকাল অনেক মানুষেরই সাধারণ সমস্যা। তবে ওষুধের ব্যবহার না করেই অনেক উপায় আছে যা ঘরে বসেই প্রয়োগ করা যায়।



নিয়মিত হালকা শারীরিক ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং।







প্রতিদিন হালকা হাঁটা বা সাঁতার পিঠের পেশি জোরদার ও নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। যোগাসন, পিলাটিস ও তাই চি অনুশীলন করলে শরীরের ব্যালান্স বজায় থাকে, শ্বাস-প্রশ্বাস ভালো হয় আর মানসিক চাপ কমে।

ব্যাথা হলে হট ও কোল্ড প্যাক ব্যবহার করুন। প্রথম দুই দিনের জন্য বরফ ব্যবহার করুন— ব্যথা এবং ফোলাভাব কমে। এরপর গরম প্রয়োগ করলে পেশির শিথিলতা বাড়ে ও রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

নিয়মিত হালকা ম্যাসাজ করলে পেশি শিথিল হয় ও যন্ত্রণার তীব্রতা কমে।

হাড়ে প্রতি যত্নবান হতে হবে। সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ পিঠের ওপর চাপ কমায়। মাইন্ডফুলনেস, মেডিটেশন ও সাইকোথেরাপি ব্যাকপেইন কমাতে কার্যকর—চোখ, মন ও শরীর শান্ত হয়।

গবেষকরা বলছেন, তাই চি ও কিউগং অনুশীলনে মাত্র ১২ সপ্তাহে ফল পাওয়া গেছে। পিঠে ব্যথা, স্থিতিস্থাপকতা ও মানসিক চাপ কমেছে। এ ছাড়া হলুদে থাকা কুরকুমিন-এন্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে। অনেক কোমর ব্যথা রোগী কুরকুমিন-এন্টি-ইনফ্লেমেটরির ব্যবহারে ভালো ফল পেয়েছেন। তবে তারা এও বলেছেন, যদি ব্যথা ৪–৬ সপ্তাহে না থামে; হাঁটাচলা বা কাজ করতে সমস্যা হয়, বা সারা শরীরে ঝিঁঝিঁ অনুভূতি হয়—তবে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  

সতর্কতা: নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, সুস্থ জীবনপ্রণালী ও মন–শরীর অনুশীলনগুলো বর্তমান সময়ে ব্যাকপেইনের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে যথেষ্ট কার্যকর। তবে কোনো উপায় ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

এমজে



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews