বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিই হেলথকেয়ার বাংলাদেশে তাদের এ ওয়ান-শিওর সংস্কারকৃত (রিফারবিশিং) আল্ট্রাসাউন্ড সিস্টেম সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এর লক্ষ্য হলো, ছোট শহর এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিত করা। সংস্কারকৃত ইউনিটগুলো চিকিৎসা সরঞ্জাম পুনঃব্যবহারযোগ্য করে তুলবে, যা অসংখ্য রোগীর মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং পরিবেশের সুরক্ষাতে ভূমিকা রাখবে।
'এ ওয়ান-শিওর' উদ্যোগের অংশ হিসাবে, জিই হেলথকেয়ার ২৫৯টি পরিদর্শন এবং গুণমান পরীক্ষা করার পরে এক বছরের ওয়ারেন্টি সহ সাশ্রয়ী মূল্যের মানের আল্ট্রাসাউন্ড সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। বাংলাদেশে উদ্যোগটি পরিচালনা করে, জিই হেলথকেয়ার ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রধান মেট্রো শহরগুলিতে রয়েছে বাইরে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও সাশ্রয়িমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমাধান দিবে। দেশে সংস্কারকৃত ইউনিটের জন্য দক্ষ জনবলের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হবে, ফলে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।
এ প্রসঙ্গে জিই হেলথকেয়ার সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিইও চৈতন্য সারওয়াত বলেন, আমাদের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান একটি মার্কেট এবং এ ওয়ান-শিওর ইউনিট চালুর মাধ্যমে আমরা দেশের সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত, ডায়াগনস্টিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাস্টেইনেবিলিটির প্রচার, স্থানীয় মার্কেটের বিকাশের উদ্দেশ্যে উদ্যোগটি পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেম আরও উন্নত হবে এবং সর্বস্তরের মানুষ সেরা মানের সেবা পাবে বলে আমরা আশাবাদী।জিই হেলথকেয়ার সাউথ এশিয়া’র বিজনেস হেড-আল্ট্রাসাউন্ড, অনুপ আর. কুমার বলেন, বাংলাদেশের মেডিকেল ডায়াগনস্টিক মার্কেট সিস্টেম স্বাস্থ্যখাতে শহুরে-গ্রামীণ ভারসাম্যহীনতার মুখোমুখি। ‘এ ওয়ান- শিওর’ এর লক্ষ্য ডায়াগনস্টিক সক্ষমতা নিশ্চিত করা, যা বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক অবস্থা সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য ব্যাপক সহায়ক হবে। এতে করে রোগীরাও চিকিৎসার ভালো ফলাফল পাবে। ‘এ ওয়ান- শিওর’ সংস্কারকৃত ইউনিটগুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এতে করে দেশের জনগণ ও অর্থনীতি উভয়েরই উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ