গত বছরের সেপ্টেম্বরে লাইভে নাতির বন্ধুকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছিলেন ৬১ বছর বয়সী বৃদ্ধা ও তার ২৪ বছর বয়সী স্বামী। সমাজের কটূ কথা, লোকলজ্জা সব স্রেফ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দিব্যি সংসার করছেন তারা। এবার ফের আলোচনায় এসেছেন এই অসম দম্পতি। সংসারের পূর্ণতা পেতে সন্তান নিতে চান তারা।
জর্জিয়ার রোম শহরে শেরিল ম্যাকগ্রেগর ও তার স্বামী কোরান ম্যাককেইন জানান, তারা ২০২৩ সালের মধ্যে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে চান। এজন্য তারা ১২ লাখ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটির বেশি টাকাও ব্যয় করতে প্রস্তুত।
কোরান নিউটুনো.অনলাইনকে বলেন, সারোগেরির ব্যয় ৬ লাখ থেকে ১২ লাখ পাউন্ডের মধ্যে। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা আমাদের সেরোগেট মাদার পেয়ে গেছি। ২০২৩ সালেই নতুন অতিথি আসছে।
এটা অবশ্য কোরানের প্রথম সন্তান। শেরিলের ইতোমধ্যেই সাত সন্তান ও ১৭টি নাতি-নাতনি রয়েছে।
শীগগিরই হতে যাওয়া বাবা কোরান বলেন, আমি খুব খুশি, এটি এমন কিছু যা আমি সবসময় চেয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আমার জীবনে ভালবাসাময় একটি পরিবার থাকুক।
অবশ্য এই বয়সে মা হতে পেরে শেরিলও কম খুশি নন, তিনি বলেন, এই নতুন যাত্রায় আমার এবং আমার পরিবারের জন্য আরেকটি সন্তান আশ্চর্যজনক। আমি ইতোমধ্যেই সন্তানের জন্য কেনাকাটা করার পরিকল্পনা করেছি। আমি আশা করছি আমরা বেবি শাওয়ারও করব।
বয়সের ব্যবধানের কারণে এই দম্পতি প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছেন। প্রায়শই শেরিলকে কোরানের দাদি বলে ভুল করেন অনেকে।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তারা বিয়ের করেন। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান তাদের হাজার হাজার টিকটক অনুসারী লাইভে দেখেন বলেও জানা গেছে। তবে সে সময় আফসোস করে নববধূ বলেছিলেন, রাস্তায় বেশির ভাগ মানুষ আমার স্বামীকে আমার নাতি বলে মনে করে। এটা ভাল লাগে না।
জানা গেছে, শেরিলের নাতির একটি খাবারের দোকান আছে। সেই দোকানেই কাজ করতেন কোরান। ২০১২ সালে কোরানের বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর তখন শেরিলের সঙ্গে ওই দোকানেই পরিচয় হয় তার। সেই যোগাযোগ প্রাথমিক ভাবে গড়ে উঠলেও এক সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০২০ সালে অনলাইনে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে যোগাযোগ। তখন থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হয় তাদের। শেষে এক দিন একটি ক্যাফেতে হঠাৎই আংটি নিয়ে শেরিলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কোরান।
বিয়ের পর কোরান বলেছিলেন, শেরিল খুবই নরম মনের মানুষ। তিনি সুন্দরী, সৎ ও ইমোশনাল। সেই কারণেই উনাকে আমার ভালো লাগে। আমি যখন উনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিই, তখন উনি অবাক হয়েছিলেন।
একলা মায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন শেরিল। তার সাত সন্তানই মায়ের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছেন।