শীত গিয়ে গরমের অনুভূতি শুরু হয়েছে। গরম থেকে মুক্তি পেতে বেশির ভাগ মানুষের বাসায়, অফিসে ফ্যান এবং এসি চালিয়ে রাখছেন সারাদিন। এতে চাপ পড়ছে বিদ্যুৎ এর উপর । আর সে সাথে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময় মধ্যবিত্তদের পকেটে পড়ছে টান।
বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় সম্পর্কে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কম আসতে পারে। যার ফলে পকেটেও টান পড়বে না। অন্যদিকে গরমেও কষ্ট হবে না। চলুন জেনে নেই নিয়ম গুলো-
অনেকের বাড়িতে এখনও পুরনো দিনের বাল্ব ব্যবহার করেন। ফিলামেন্টের মাধ্যমে ওই আলো জ্বলে। কিন্তু সেক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ বিল আসে তুলনামূলক অনেক বেশি। ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বাড়ির সমস্ত বাল্ব পরিবর্তন করে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও বিদ্যুৎ খরচ হয় অনেক কম।
যখন কোনও বৈদ্যুতিক সামগ্রী কিনবেন তখন অবশ্যই ওই সরঞ্জামের স্টার রেটিং দেখে নেওয়া উচিত। কারণ স্টার রেটিং যত বেশি হবে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন ৫ স্টার রেটিংয়ের কোনও সরঞ্জাম কেনা।
যখন কোনও অ্যাপ্লায়েন্সেস ব্যবহার হচ্ছে না তখন সেই সুইচ বন্ধ রাখুন। অনেকেই টিভি বা ফ্রিজ না ব্যবহার করলেও সেগুলোর সুইচ অন করে রাখেন। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ হয়। এমনকি অনেকে বাড়িতে না থাকলেও লাইট এবং ফ্যান চালিয়ে রাখেন। তাই কোনও সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে তার সুইচ অবশ্যই বন্ধ করে রাখুন।
অনেকের বাড়িতে একাধিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থাকলেও তা অনেকসময় অব্যবহৃত অবস্থায় থাকলেও চালু করা থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে পাওয়ার স্ট্রিপ থাকলে একসঙ্গে সমস্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ রাখা সম্ভব। ফলে বিদ্যুৎ বিলে রাশ টানা সম্ভব।
অনেকেই এসি কিনে কম তাপমাত্রায় চালিয়ে রাখেন। অত্যধিক গরমে তা সত্যিই প্রয়োজনীয় কিন্তু এক্ষেত্রে খরচও বাড়ে। কারণ এসির তাপমাত্রা যত কমানো হয় কম্প্রেসর তত বেশি কাজ করতে শুরু করে। যার ফলে তুলনামূলক অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই সমস্যা সমাধানে এসি সবসময় ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত। এতে ঠাণ্ডা হতে বেশ কিছু অতিরিক্ত সময় লাগলেও বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক অনেক কম হয়।