গতকাল জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেস দলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। বলা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?
স্টিফেন ডুজারিক প্রশ্নটির উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যেতে পারতেন। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করতে পারতেন। এ বিষয়ে কোনো বিদেশি মন্তব্য ভারতের কাছে ‘অনভিপ্রেত ও অবাঞ্ছিত’, তা জেনে প্রশ্নটি তিনি অগ্রাহ্য করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি মুক্ত মনে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভারতের পক্ষে অবশ্যই তা বিব্রতকর।
প্রথম দফায় সাত দিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানায়। বিচারক চার দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। আগামী ১ এপ্রিল তাঁকে আবার হাজির করতে হবে। তবে তার আগে কেজরিওয়ালকে অনুমতি দেন এজলাসে নিজের হয়ে সওয়াল করার। অনুমতি পেয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তাঁকে ফাঁসানোই ইডির একমাত্র লক্ষ্য।