কাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে লড়াইয়ে ব্যাট-বলের বাইরেও কিছু টুকরো ছবি চোখে পড়ল রাজ শুভ নারায়ণ চৌধুরীর। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম থেকে সেই ছবিগুলোই তুলে এনেছেন তিনি

জিম্বাবুয়ে বলেই! 

ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা, শেষ বলের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস নেই...সবই ঠিক আছে। তবে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এখন দশটি ম্যাচ খেললে বাংলাদেশ আট-নয়টিই জিতবে, এটা সম্ভবত চোখ বুজে দেওয়াই যায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ তেমন নেই বলেই কি না, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ এখন আর দর্শক টানে না। কাল মিরপুরেও গ্যালারি অনেকটাই ফাঁকা। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের সময় তো মেরেকেটে হাজার তিন-চারেক দর্শক ছিল কি না সন্দেহ। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় সংখ্যাটা একটু ‘ভদ্রস্থ’ হয়েছে। গ্যালারির আরও এক-দেড় হাজার আসন ভরেছে, এই যা!

গ্যালারিতে হাথুরু
এই কদিন আগেও তিনি থাকতেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে। কিন্তু কাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মাঠে ঢোকারও অনুমতি নেই। তিনি যে এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তবে মাঠে ঢুকতে না পারলেও গ্যালারিতে আসতে তো আর বাধা নেই। একাডেমি মাঠে শ্রীলঙ্কার অনুশীলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাথুরুসিংহেও এলেন। লঙ্কান দলের লিয়াজোঁ অফিসার মেহরাব হোসেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ খেলা দেখলেন। সে সময় বাংলাদেশ বোলিং করছিল। হাথুরুসিংহের উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই শুধু পুরোনো শিষ্যদের দেখতে আসা ছিল না। বাংলাদেশের পরের ম্যাচটাই তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে!

রুবেলের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি
কী মনে করে যে বলটা ওভাবে অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেংথে ফেললেন রুবেল হোসেন! ব্যাটসম্যান তাতে ব্যাটই চালালেন না, রুবেলেরও হ্যাটট্রিকটা হলো না! ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক আগেও একটা করেছেন রুবেল, ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কাল পরপর দুই বলে জিম্বাবুয়ের অষ্টম ব্যাটসম্যান পিটার মুর ও নবম ব্যাটসম্যান টেন্ডাই চাতারাকে বোল্ড করেছিলেন। পরের বলে উইকেটটা পেলে তাঁরও হ্যাটট্রিক হয়, জিম্বাবুয়ের ইনিংসও শেষ হয়ে যায়। জিম্বাবুয়ের ইনিংস পরের ওভারেই শেষ হয়েছে, কিন্তু রুবেলের হ্যাটট্রিকটা হলো না আর কী! তবে প্রাপ্তি একটা হয়েছে। চাতারার উইকেটটা ছিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাঁর ১০০তম। মাশরাফি, সাকিব, রাজ্জাক ও রফিকের পর ‘হান্ড্রেড’ ক্লাবে ঢোকা পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার রুবেল, পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয়।

এনামুলের ফেরা
৩৪ মাস পর দলে ফিরেছেন বলেই কি দেখিয়ে দেওয়ার তাড়নাটা বেশি ছিল এনামুল হকের মধ্যে? তিনি স্বার্থপর ব্যাটিং করেন—এই অভিযোগটাকে মিথ্যা প্রমাণের প্রতিজ্ঞাও? কাইল জারভিসকে চার মেরে শুরু, পরের ওভারে চাতারাকে পরপর দুই বলে দুটি। ১০ বলের ইনিংসে ৪টি চারে ১৯—তামিম ইকবালকে তাঁর পাশে বরং ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’ মনে হচ্ছিল! কিন্তু এনামুলের ঝোড়ো ব্যাটিং বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। ইনিংসের শেষটাও অবশ্য আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়েই। সিকান্দার রাজাকে ছক্কা মারতে গিয়ে লেগ সাইডে বাউন্ডারিতে থাকা একমাত্র ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ।

নো...নো-নো-নো
এক ওভারে ছয় বলই করতে হবে, কে বলেছে? কেউ কেউ দশ বলও করেন! ব্লেসিং মুজারাবানিকেই দেখুন। এই ওয়ানডেতেই অভিষেক। তাতে ইনিংসের ২৭তম ওভারে পরপর তিনটি বল করলেন নো—সব মিলিয়ে চারটি! এত লম্বা হওয়ার অসুবিধা আর কী! তবে জিম্বাবুইয়ান ফাস্ট বোলারের ভাগ্য ভালো, একটা ফ্রি হিটও কাজে লাগাতে পারেননি ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান তামিম-মুশফিক। উচ্চতার কারণে আলাদাভাবে নজরকাড়া মুজারাবানি বোলিংয়ে নজর কাড়তে পারেননি। তবে নজর কাড়ল ম্যাচশেষে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাঁর ছবিটি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews