মোঃ ফেরদাউছ সিকদার, বরিশাল প্রতিনিধি:
ধান, নদী, খাল, এই তিনে হয় বরিশাল। আমাদের বরিশাল শহর দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের একটি শহর। এ নামটি শোনলে হয়তো গোটা জেলা ভয় পায়, কিন্তু কারণ কি? আসলে বরিশালের মানুষের অনেক মায়া, তারা কি তারা জানে না? বরিশাল এটি বাংলাদেশ-এর একটি অন্যতম সুন্দর শহর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশষ্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। ৬ জেলা নিয়ে বরিশাল বিভাগ সৃষ্টি হয়। জেলা গুলো হলো বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা। ২০০০ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। অবস্থিত বরিশাল শহরের আয়তন ১৯.৯৯ বর্গঃ কিঃ। বিভাগের আওতায় আছে ৬টি জেলা, ৩৮টি থানা, ৩২৩টি ইউনিয়নন, ৩২৩৭টি গ্রাম, ১১টি পৌরসভা।
বরিশালের মোট জনসংখ্যার ৯০.৬৪% মুসলিম, ৮.৩৮% হিন্দু, মসজিদ এর সংখ্যা ৪৫০, চার্চ এর সংখ্যা ৫, মন্দিরের সংখ্যা ২০০ টির উপর। সরকারী কলেজ-১৮টি, বেসরকারি কলেজ ৬৫টি, মেডিকেল কলেজ-১টি, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ-১টি, বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। বরিশাল হচ্ছে বাংলাদেশের এমন এক জেলার নাম যেখানে আমাদের দেশের প্রচুর সাহসী মানুষের বসবাস। বরিশাল জেলার একটি অবহেলিত উপজেলার নাম হিজলা। চারদিক মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। যে দিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু নদী আর নদী।
বরিশালের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবন্দি থেকে জানা যায়, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো। আর এই বড় বড় শাল গাছের কারণে (বড় শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সা নদীতে চর জেগে ওঠার কারণে বন্দরের ব্যবসায়ী, মালামাল পরিবহনকারী নৌযান ও ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বরিশাল শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মাধবপাশার দুর্গাসাগর দীঘি। এখান থেকে কাছেই চাখারে শেরে বাংলার গ্রামের বাড়ি ও জাদুঘর। জাদুঘরে শেরেবাংলার ব্যবহূত আসবাব, পোশাক ইত্যাদি দেখতে পাবেন। উজিরপুর উপজেলায় গুটিয়ার টাগংরিয়া গ্রামে অপূর্ব স্থাপনায় তৈরি বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগা ময়দান। বরিশাল-মাওয়া সড়কে দোয়ারিকা-শিকারপুর নদীতে সেতু। কির্ত্তনখোলার অন্য পাড়ে লামচড়ি গ্রামে দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের বাড়ি ও লাইব্রেরি। কির্ত্তনখোলা সেতু পার হয়ে সড়কে চলে গেছে পটুয়াখালী, বরগুনা, কয়াকাটা আবার ভোলার দিকে।
বরিশালের মেয়েদের ০৪টি গুণ !!
১/ এরা খুবই স্বার্থপর, নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন কিছুরই এদের কাছে মূল্য নেই ।
২/ শ্বশুর বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে স্বামীর ওপর পড়ে স্টীম রোলার।
৩/ স্বামীর টাকা বেশি না হলে, স্বামীকে শুনতে হয়- সারাদিন ‘ঘোড়ার ঘাস কাট’ এর মত বকাবকি।
৪/ স্বামীকে গৃহপালিত আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে এরা দেখতে পছন্দ করে।
বরিশালের রান্না বান্নাঃ
কাঁচা মরিচ ভুনা (বরিশালের রান্না)। কাঁচা মরিচকে ফালিফালি করে কেটে যে কোন ছেচুনি দিয়ে চেঁচে নিন। সামান্য লবন যোগে ভাপিয়ে নিন। কিংবা কম সিদ্ব করে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভাজুন। তার পর এক টেবিল চামচ রসুন বাটা এবং হাফ চা চামচ হলুদ এর সাথে সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে ফেলুন। ঝোলে তেল উঠে গেলে তাতে কিছু চিংড়ি মাছ দিন। (ছোট চিংড়ি পরিমানে বেশী দিতে হয়) ভাল করে আবারো কষিয়ে নিয়ে মরিচ দিয়ে দিতে হবে। ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। হাফ কাপ পানি দিয়ে মিনিট পনের ঢাকনা দিয়ে মাধ্যম আঁচে রাখুন। ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি নিজে সিদ্বান্ত নিন।
আপনারা যারা এখনো এই মরিচ ভুনা এখনো খান নাই, তাদের প্রতি অনুরোধ, বেঁচে থাকতে একবার ট্রাই করুন। বরিশালের এই খাবার আপনি মিস করতে পারেন না। কারন রান্নার সকল উপাদান আপনার হাতের কাছেই আছে, শুধু সাহস করলেই হল আর সাহসের জয় সব সময়।
বরিশালের উপর আকর্ষনীয়ঃ
বরিশাল নগরীতে আছে নানান রকমের লেক, পার্ক, বরিশালের ওপর দিয়ে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, সন্ধ্যা, বিশখালী, আড়িয়াাল খাঁ, বলেশ্বর, সুগন্ধা নদী বয়ে গেছে। কির্ত্তনখোলা নদীর পাড়ের সুন্দর শহর বরিশাল। পড়ন্ত বিকালে কির্ত্তনখোলায় নৌবিহারে যেতে পারেন। যেতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা পার্কে, বরিশাল শহর ঘুরে বেড়াতে পারেন হেঁটে কিংবা রিক্সায় চড়ে তবে বেশেই ভাগ অটো। শহরেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শহরের মাঝখানে রয়েছে ঐতিবাহি বিবির পুকুর, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, অশ্বিনীকুমার টাউন হল, নতুল্লাবাদে চারণ কবি মুকুন্দ দাসের কালী মন্দির, হাসপাতাল রোডে শংকর মঠ, অক্সফোর্ড মিশন গির্জা, বেলপার্ক, লিচুশাহ (রাঃ) মাজার, জমিদার বাড়ি।
গ্রামঞ্চলঃ
বরিশালের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় গ্রাম হল, লাকুটিয়া, জমিদার বাড়ী, সেখানে রয়েছে, ক’খানের দিঘি, একরখানের জমি, জমিতে রয়েছে বিভিন্ন গাছ গাছালী, সুন্দর সবুজ শ্যামল আবহাওয়া, আরো রয়েছে পর্যটনদের জন্য বসার স্থান।
বরিশালের ছেলেতের হালচালঃ
বরিশালের ছেলেদের তো কোন কথাই হয়না, বরিশাল শহর বলতে কথা, সারাদিন আড্ডা, পড়াশুনা নেই, রাস্তায় রাস্তায় ঘোড়াঘুড়ি, আর চাপার জোরতো আছেই।
বরিশালের মেয়েদের হালচালঃ
এরা খুবই স্বার্থপর, নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন কিছুরই এদের কাছে মূল্য নেই, শ্বশুর বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে স্বামীর ওপর পড়ে স্টীম রোলার, স্বামীর টাকা বেশি না হলে, স্বামীকে শুনতে হয়- সারাদিন ‘ঘোড়ার ঘাস কাট’ এর মত বকাবকি। স্বামীকে গৃহপালিত আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে এরা দেখতে পছন্দ করে। বরিশালের মেয়েদের তো কোন কথাই হয়না, আর আছে চাপায় হাফেজ, আর সারাদিন চুল আচরাবে, ফেইজ ওয়াস করবে, সারাদিন ফোনে কথা বলতে পারে, আর অহংকারে ভরা, কাহারো কোন কথা শোনবে না, তার নিজের কথাই একশো, নিজে দোষ করলে ও তা কিছুতেই শ্বিকার করবে না। কিছু বোঝার আগেই ফেত কান্দে। তবে তাদের রান্না বান্না তমৎকার।