প্রথমবারের মতো কানাডার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন এক নারী হিন্দু আইনপ্রণেতা। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন অনিতা আনন্দ নামের ওই নারী। তাকে পাবলিক সার্ভিস ও প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়টি সামরিক কেনাকাটার বিষয়টি দেখভাল করে বলে জানিয়েছে সেখানকার সংবাদমাধ্যম টরেন্টো স্টার।

গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ১৫৭টি আসনে জয় পায়। বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি পায় ১২১ আসন। ব্লক কুইবেকইস ৩২টি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জগমিত সিং নেতৃত্বাধীন নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) ২৪টি, গ্রিন পার্টি ৩টি আসন পায়। বাকি একটি আসনে জয় পায় স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে ৩৩৮ আসনের হাউস অব কমন্সে কোনও আইন পাস করতে হলে প্রয়োজনীয় ১৭০ ভোট নিশ্চিত করতে অন্য দলের আইন প্রণেতাদের সমর্থনের দরকার পড়বে তাদের।

ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া অনিতা আনন্দ এক সময়ে আইনের অধ্যাপনা করতেন। তিনি একাধারে একজন আইনজীবী, গবেষক ও চার সন্তানের মা। নোভা স্কটিয়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠার পর ১৯৮৫ তিনি অন্টারিওতে চলে আসেন।

গত দুই দশকে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি ম্যাসে কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও রটম্যান স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের ক্যাপিটাল মার্কেটস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়েল ল স্কুল ও ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়িয়েছেন।

কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্নাতক সম্পন্ন করেছেন তিনি। এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সেও স্নাতক নিয়েছেন তিনি। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব ল ডিগ্রিও রয়েছে তার। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ল সম্পন্ন করেন তিনি।

অনিতা আনন্দ ছাড়াও তিন শিখ ধর্মালম্বীকে নিজের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, নতুন শক্তিশালী ও দক্ষ দল। সামনে প্রচুর কাজ আর আমরা কানাডাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews