বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের প্রসার নাকি বাড়ছে! আইসিসি যখনই এই বাক্য উচ্চারণ করে, দীর্ঘশ্বাস বাড়ে নেদারল্যান্ডস-নেপালের মতো সহযোগী দেশগুলোর। বারবার উঠে আসে একটাই প্রশ্ন, প্রসার যদি হয়েই থাকে তাহলে কেন মাত্র ১০ দলের বিশ্বকাপ? এটা কী উন্নতির নমুনা, নাকি প্রহসন? টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও কেনো তাহলে বিশ্বকাপ খেলতে পারে না জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো!
দশ দলকে নিয়ে হবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ, ২০১৫ সালে আইসিসির সেই ঘোষণার পর থেকেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শোনা যাচ্ছে, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপও হবে ১০ দলকে নিয়েই!
অথচ ২০০৭ সালেও ১৬ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল আইসিসি। চাইলেই যে বড় আকারে বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব তার জ্বলন্ত উদাহরণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই আসর। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই ভারত-পাকিস্তানের মতো জায়ান্টরা বাদ পড়ে যাওয়ায় পরের বিশ্বকাপে চার দল করে গ্রুপ পর্ব আয়োজন করার সাহস পায়নি আইসিসি। ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ হয়েছে ১৪ দল নিয়ে। আর এবার তো সেই ১০ দলের বিশ্বকাপ!
বিজ্ঞাপন
এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে ক্রিকেট খেলার আর কোনো মানে দেখছেন না নেপালের লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। ছোট দলের এই বড় তারকা খেলছেন আইপিএলে, কামাচ্ছেন নাম-যশ। পেয়েছেন নেপালের শেন ওয়ার্ন তকমাও। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পেলে কেবল তিনিই নন, একদিন তার দলও ক্রিকেট ইতিহাস থেকে মুছে যাবে বলে এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছেন লামিচানে!
‘সত্যি বলছি, এটা শুনতে কিংবা বলতেও খারাপ লাগে যে মাত্র দশ দল নিয়ে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ হচ্ছে। আমাদের যারা সম্ভাবনাময় তরুণ তাদের জন্যও কিন্তু এই বিশ্বকাপ খেলতে না পারাটা ভীষণ হতাশার।’
‘বিশ্বকাপ আসে ৪ বছর পর পর। দলগুলো তাদের স্বপ্ন পূরণ করে বিশ্বকাপ খেলার মধ্য দিয়ে। নেপাল ক্রিকেট বিশ্বের উঠতি দেশ। আমরা কতটা সক্ষম তা প্রমাণের একটা সুযোগ পেতাম বিশ্বকাপ খেলতে পারলে। দেশের জন্য খেলতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগতো।’
‘কিন্তু এখন শুনছি ২০২৩ বিশ্বকাপও নাকি ১০ দলের হবে। ভাবছিলাম সেই বিশ্বকাপে অন্তত খেলার সুযোগ পাবো। কিন্তু কই? বিশ্বকাপ অন্তত ১৪-১৬ দলের হওয়া উচিত!’