ইন্টার মিয়ামি মূলত ছিটকে গিয়েছিল প্রথম লেগেই। তবে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারে ও জর্দি আলবার মতো নামিদামি তারকা থাকায় ভক্তরা প্রত্যাবর্তনের আশাই করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মিয়ামি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে ফিরতি লেগেও হেরেছে দলটি।

ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে আর ফিরতি লেগে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে মিয়ামি। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ অগ্রগামিতায় ফাইনালে চলে গেছে ভ্যাঙ্কুভার। বিদায় নিতে হয়েছে মিয়ামিকে।

মেসি, সুয়ারেজ ও সার্জিও বুসকেটসদের মতো তারকা থাকতে বড় ব্যবধানে হার হজম করা মিয়ামি ভক্তদের জন্য বড্ড কঠিন। যেখানে তারা অপেক্ষায় থাকেন প্রিয় তারকাদের গোল দেখার, সেখানে দেখলেন গোল হজমের পর মেসি-সুয়ারেজদের হতাশাগ্রস্ত গোমড়া মুখ।

বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেসিদের হার নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। কেন ভ্যাঙ্কুভারের মতো দলের কাছে এমন নাকানিচুবানি খেলো মিয়ামি, সেই কারণ খুঁজতে ব্যস্ত বিশ্লেষকরা।

এর মধ্যে এক বিশ্লেষক যেন সর্ষের ভেতরেই ভূত দেখলেন। অর্থাৎ সমস্যা সংশোধনকারীর মধ্যেই গলদ খুঁজে ফেলেন তিনি।

বার্সেলোনায় থাকতে মেসি-সুয়ারেজরা বহুবার দলের ত্রাণকর্তারূপে হাজির হয়েছিলেন, দল জিতিয়েছেন, সমস্যা-সংকট দূর করেছেন।মিয়ামিতেও তাদের কাছে সেটি প্রত্যাশা করেন সমর্থকরা।

কিন্তু ফক্স স্পোর্টসের বিশ্লেষক ও সাবেক প্রিমিয়ার লিগ তারকা ওয়ারেন বার্টন বলছেন ভিন্ন কথা। মেসি-সুয়ারেজদের তিনি সমস্যা সমাধানকারী নয় বরং বোঝা হিসেবে দেখছেন।

বার্টন মনে করছেন, বয়সের ভারে নেতিয়ে গেছেন মেসি-সুয়ারেজরা। তারা এখন দৌড়াতে পারেন না। একবার মাঠের ওপরে উঠে আসলে প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণের সময় মিয়ামির পাঁচজন দ্রুত গতিতে নিচে নামতে পারেন না। আর নিচের পাঁচজনও প্রতিপক্ষের আক্রমণকে ডিফেন্ড করতে পারেন না।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাঙ্কুভার ইন্টার মিয়ামির দুর্বলতা দেখিয়েছে। কারণ তারা (মিয়ামির ফুটবলার) দৌড়াতে পারেন না, ডিফেন্ড করতে পারেন না, এবং দলে কোনো ভারসাম্য নেই। কারণ পাঁচজন সামনে থেকে যায় এবং অন্য পাঁচজন ডিফেন্ডের চেষ্টা করেন। আর তারা সেটা করতে পারেন না।’

ভ্যাঙ্কুভারের কোচ জ্যাসপার সোরেনসেন সাংবাদিকদের ওই ইঙ্গিতটিই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বলা ন্যায্য হবে যে আমাদের দলটি তুলনামূলকভাবে তরুণ এবং বেশি দৌড়াতে ও উচ্চমাত্রার খেলা চালিয়ে যেতে সক্ষম।’

‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খুবই শক্তভাবে খেলায় ফিরে এসেছি এবং এটা কাজে লাগিয়েছি যে মাঠ খোলা ছিল। ওদের কিছু খেলোয়াড় সামনে থেকে গিয়েছিল, ফলে তাদের কয়েকজন দিয়ে ডিফেন্ড করতে হচ্ছিল এবং আমি শুধু বলেছিলাম, ‘চালিয়ে যাও, সামনে দৌড়াও।’

এমএইচ/জেআইএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews