সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। তার আগে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বাংলাদেশে ফিরেছেন ৪ সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে। এই ছুটির আগে তিনি বাংলাদেশে ছিলেন মোটে ৫ দিন, সেবার ২৫ দিনের ছুটি কাটিয়ে তিনি ফিরেছিলেন দেশে।
জাতীয় দলের কোচের কাজ দেশের ঘরোয়া ফুটবল দেখে দল সাজানো। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তিনি দেশেই ছিলেন না, দল সাজিয়েছেন তবুও। যদিও কাবরেরা নিজেই জানিয়েছেন, ‘টিভিতে খেলা দেখে’ দল সাজান তিনি। তবে এ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এবার।
প্রশ্নটা তুলেছেন আবাহনী কোচ মারুফুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন কোচকে মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ যেভাবে ফুটবল ম্যাচ সম্প্রচার করা হয়; ক্যামেরা, বল, খেলোয়াড়, মাঠ—সবকিছুই এলোমেলোভাবে দেখায়। ম্যাচের আসল গতিপ্রকৃতি পুরোপুরি বোঝা যায় না। একজন কোচের পক্ষে ভিডিও দেখে খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স যাচাই করা অসম্ভব।’
এ প্রক্রিয়ায় খেলা দেখে দল নির্বাচন করলে তা শতভাগ নিখুঁত হয় না, বিশ্বাস মারুফুলের। তিনি বলেন, ‘কোচ যদি ভিডিও বা অন্য কারও দৃষ্টি দিয়ে খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করেন, তাহলে এই প্রক্রিয়ার ফাঁক থেকেই যায়।’
তাহলে প্রশ্ন উঠে যায় কাবরেরার ফুটবল দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েও। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদের অভিমত, কিছুটা হলেও ‘অটো চয়েজ’দের নিয়ে মুখস্থ দল সাজান তিনি। তার কথা, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার মনে হয়ে কোচ মুখস্থ দল নির্বাচন করেন।’
প্রশ্নটা উঠছে, কারণ দল নির্বাচনে বিপিএলের পারফর্ম্যান্সের ছাপ আদৌ পড়েনি। গোলরক্ষকের তালিকায় আছেন তিন জন– মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ আর সুজন হোসেন। সবশেষ বিপিএলে মিতুলই ছিলেন সেরা গোলরক্ষক, তার ক্লিনশিটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৯টি। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্লিনশিট যার, সে রাকিবুল হাসান ডাকই পাননি দলে।
কিংস ডিফেন্ডার তপু বর্মণ আর তারিক কাজী জায়গা করে নিয়েছেন স্কোয়াডে, যেখানে তাদের দল হজম করেছে সব মিলিয়ে ২২ গোল। সব মিলিয়ে পুরো মৌসুমে ১০ গোল হজম করা আবাহনীর ডিফেন্ডার ইয়াছিন খান উপেক্ষিতই থেকে গেছেন।
এছাড়াও ফর্টিস এফসির ফরোয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা সুযোগ পাননি। আগের বার প্রাথমিক দলে ডাক পেলেও চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার ঠিক আগে রহস্যজনকভাবে বাদ দেওয়া হয় তাকে। এরপর এবার দলেই ডাকা হয়নি তাকে। সব মিলিয়ে কাবরেরার স্কোয়াড নির্বাচন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে এবারের উইন্ডোয়।