বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দ্বিতীয়বার যখন টিউশনির বেতন পেলাম, আম্মুকে ফোন করলাম। ‘আম্মু, বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটা যাচ্ছি ঘুরতে।’একদমই বাসার বাইরে কখনো না যাওয়া আমি ধরেই নিয়েছিলাম, আম্মু সোজা না করে দেবেন। আমাকে অবাক করে দিয়ে আম্মু বললেন, ‘ঠিক আছে বাবা, ঘুরে আয়। অনেক পড়াশোনা করেছিস জীবনে।’
বাবাহারা হওয়ার পর তৃতীয় দিনের মাথায় মা বলেছিলেন, ‘বাবা আর আসবে না, কিন্তু জীবন থেমে থাকবে না কারও জন্য। চালিয়ে নিতে হবে। তোমাকে দ্রুত স্কুলে ফিরে যেতে হবে।’ মা এ রকমই আমার জীবনে। প্রতিটি সংগ্রাম, আর চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস।