সাভারে বিসিকের চামড়া শিল্প নগরীতে কাঁচা চামড়া-ওয়েট ব্লু চামড়া সরকারিভাবে রফতানির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেবিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আড়তদার ও ট্যানারির শ্রমিকরা।
সোমবার (২৬ মে ) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীর ট্যানারির মূল ফটকে তারা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। এতে ট্যানারির সকল কারখানার শ্রমিকরাসহ প্রায় ১৪টি সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিলে বলেন, সম্প্রতি সরকারিভাবে কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে ট্যানারির শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন ও মালিকরা ব্যবসার লোকসানের মুখে পড়বেন। দ্রুত সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বিসিক শিল্প নগরীর অফিসে ট্যানারির মালিকদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ বিসিক শিল্প নগরীর ট্যানারির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজোয়ানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন ঢাকা হাইট অ্যান্ড স্কিন ট্যানারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রশিদ ভুঁইয়া। এ সময় তিনি চাঁদাবাজির অভিযোগে বিসিকের ওই কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন। পরে এ নিয়ে সেখানে হট্টগোল ও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়।
ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু বিদেশে রফতানি করা হলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং শ্রমিকরা হবে বেকার। এ ক্ষেত্রে অর্থনীতিতেও মারাত্মক একটি প্রভাব পড়বে।
তাই তিনি সরকারকে এ সিন্ধান্ত থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ ফিন্সি লেদার এসোসিয়েনের সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল বলেন, সাভারে ১৪০টি ট্যানারি কারখানা রয়েছে। কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু যদি বিদেশে রফতানি করা হয়, তাহলে সব কয়টি কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবে।
তিনি সরকারকে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ঠিক করে দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, তাহলে আমরা ইউরোপে চামড়া রফতানি করতে পারবো।