অবিলম্বে জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের দাবি ছাত্রলীগের
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। শোক দিবস উপলক্ষে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারজানা আক্তার সুপর্ণার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, জিয়াউর রহমানকে কর্নেল থেকে শুরু করে জেনারেল পর্যন্ত ৪ বার পদোন্নতি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন জিয়া। ১৫ আগস্ট খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চায়, তখন তিনি গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। সেই খুনের বিচার বন্ধ করতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া বাঙ্গালি জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জঙ্গি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে শিবিরের ছেলেরা গ্রেপ্তার হলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতারাও গ্রেপ্তার হয়। এতেই বোঝা যায়, জামায়াত-বিএনপি পরিকল্পিতভাবেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ছাত্রলীগকেই মূল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হোক। কারণ কোনো খুনির নামে স্বাধীনতা পদক থাকতে পারেনা। খুনিকে এই পদক দিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার এর অবমূল্যায়ন করেছে।
তিনি বলেন, যিনি রাষ্ট্রের জনক তার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রয়োজন হয় না। অথচ ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ করতেই জিয়াউর রহমানসহ এই পুরস্কার দেয়। এটা তাদের হীনচেষ্টা। তবে সেসময় বঙ্গবন্ধুর পরিবার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ইত্তেফাক/এমআই