দ্বিতীয় অভিযোগটি হচ্ছে তিনি তাঁর ভাইকে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করতে অন্যায্যভাবে কাজ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি অবাক ও মর্মাহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও বলেছেন, অভিযোগগুলো সত্য নয়। সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর দুই ভাইয়ের একজনকে ক্ষমা করা হয়েছিল তিনি সেনাপ্রধান হওয়ার আগে। আরেকজনকে এরপর। এগুলোর সঙ্গে তাঁর পদ ব্যবহার করার কোনো সুযোগ ছিল না মর্মেও উল্লেখ করেছেন। তবে এমনটা বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ সরকারকেও কিছুটা বিব্রত ও হেয় করে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না দেওয়া হলেও একাধিক মন্ত্রী বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাঁদের বিবেচনায় এতে সরকার বা সরকারি দলের বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে না যে অভিযোগে বর্ণিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাক্রমে প্রায় চার ও তিন বছর বিজিবি ও সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক ভাইকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। অপর দুই ভাইয়ের সাজা মওকুফ করেছিল সরকার। এটা সত্য, এ ধরনের মুক্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম কোনোটিই সেনাপ্রধান বা বিজিবি প্রধানের আওতায় নেই। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেন সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে। আর সরকার তা করতে পারে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণে। এগুলোর সাংবিধানিক বা আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও নৈতিক দিক নিয়ে প্রশ্ন ছিল এবং থেকেই যাবে। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার প্রয়োগ এর বাইরে হতে পারে না। এ ধরনের সাংবিধানিক ও আইনি বিধান শুধু প্রয়োগ করতে হবে জনস্বার্থে। এখানে সরকারের অবস্থান অস্পষ্ট ও দুর্বল ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইচ্ছেমতো, দণ্ডিত কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমা বা সাজা মওকুফ করতে এ ধরনের বিধান সংবিধান কিংবা ফৌজদারি কার্যবিধিতে এর প্রণেতারা সংযোজন করেননি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews