আ ন ম মুনীরুজ্জামান: আমার মনে হয় যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বা তাদের মতামত নেওয়া হয়নি। আগেই বলেছি যে স্বচ্ছতা বা অংশীদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু করা হয়নি। মিয়ানমারের একটি রাজ্যে ত্রাণ পাঠানোর বিষয়টির বড় নিরাপত্তাঝুঁকি রয়েছে। এখানে যেহেতু নিরাপত্তা ইস্যু রয়েছে, তাই সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান, মতামত ও সম্মতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্রাণ পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়লে আমাদের বড় বিপদের মধ্যে পড়তে হতে পারে। আমরা জানি না যে রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে মিয়ানমারের সম্মতি আছে কি না। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে মিয়ানমারকে আমরা স্বীকৃতি দিই। এখন রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর বিষয়টিতে যদি তাদের সম্মতি না থাকে, তবে মিয়ানমার তার জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার স্বার্থে তা প্রতিহত করতে পারে। তখন জানমালের ক্ষতি হতে পারে। সেই নিরাপত্তা তখন কে দেবে? এর দায়িত্বই–বা কে নেবে?
আর ত্রাণ পাঠানো হলেও যাদের জন্য তা পাঠানো হচ্ছে, তাদের কাছেই যে পৌঁছাবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরনের ক্ষেত্রে ত্রাণ সাধারণত ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং নিজেদের স্বার্থে তা ব্যবহার করে। ত্রাণ তখন যুদ্ধের সরঞ্জামে পরিণত হয়।