জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স নিষিদ্ধ করা হয় পাকিস্তানে।  নির্বাচনের সময় সরকার এবং পাকিস্তান টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ উভয়েই এক্সকে নিষিদ্ধ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

বুধবার আদালতে দাখিলকৃত এক লিখিত বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সকে নিষিদ্ধ করার কথা স্বীকার করে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারের নির্দেশনা না মানায় এবং প্ল্যাটফর্মটির অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা এক্সকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। জাতীয় নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, এবং রাষ্ট্রের ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থেই আমরা এক্সকে নিষিদ্ধ করেছি।

এদিকে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির (পিটিএ) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হাফিজুর রেহমান বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ ব্লক করার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভর করে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকার নির্দেশনা দিলে ‘এক্স’ আবার খোলা হবে। প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে পাকিস্তানে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে এবং এর মামলাটি বর্তমানে সিন্ধু হাইকোর্টে শুনানি চলছে।

ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পিটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৩ সালে ভারতে ১১৬টি ইন্টারনেট শাটডাউন হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানে মাত্র সাতটি ঘটনা ঘটেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিএ ইন্টারনেট শাটডাউনকে সমর্থন করে না, তবে জাতীয় সুরক্ষা একটি অগ্রাধিকার বিষয়। 

চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন যে, মহররমের ১০ তারিখ আশুরার সময় কিছু এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।  নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশও নির্বাচনের সময় মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করেছিল। প্রতিটি দেশের নিজস্ব অনন্য সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে পাঞ্জগুরে বর্তমানে মোবাইল ডেটা পরিষেবা স্থগিত রয়েছে।

সূত্র: সামা টিভি 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews