মামলার আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মামলার শুনানিতে বাদীর বক্তব্যও শোনেন আদালত। পরে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদন নথিভুক্ত করেন। এর মাধ্যমে ২৮ বছর চলার পর মামলাটি সমাপ্তি ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত আসামিদের নাম উল্লেখ না করে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দায়মুক্ত করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাইল্যাঘোনায় নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন কল্পনা চাকমা। পরদিন কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অপহরণের মামলা করেন। প্রথমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। পরে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন। ২০১৬ সালে মামলার ৩৯তম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার।