সিলেট বিভাগে পাঁচটি কোয়ারির ইজারা স্থগিত রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা কর্মসূচিতে এসব দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এ সময় দ্রুত কোয়ারি খুলে দেওয়া এবং ট্রাকশ্রমিকদের গাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি, সিলেটের ক্রাশার মিলের মালিকদের হয়রানি বন্ধ করে ব্যবসার সুযোগ দিতে আবারও মিটার ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বক্তারা জানান, দাবি আদায়ে ২৮ জুন থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড-আনলোডে কর্মবিরতি, ৩০ জুন থেকে জেলার সব পণ্য পরিবহনে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং আগামী ২ জুলাই থেকে জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হবে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করে পাথর উত্তোলন হোক, এটা আমরাও চাই না। আমরা চাই প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হোক।’
রাজনৈতিক নেতাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়। অথচ রাজনৈতিক নেতারা এখানে অংশ নিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা দুঃখজনক। কিছু ক্ষেত্রে পাথর উত্তোলনে আদালতেরও নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করি না। আমরা পরিবেশ রক্ষায় তাঁদের সহযোগিতা চাই।’