বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, ভোটের অধিকার দেয়নি বলে আমাদের যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছে; কিন্তু স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আজকে সেই ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। অনেকেই বলছেন- এ সরকার আমরা বসিয়েছি। এ সরকারের বিরুদ্ধেও যদি আবার আমাদের আন্দোলন করতে হয় তাহলে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। এটা আমরা অবশ্যই চাই না।
তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া একটি সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলেই ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হয়। কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই; কিন্তু এ সরকারের মেয়াদ আট মাস হয়ে গেলেও তারা নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দিচ্ছে না।
রোববার দুপুরে নাটোর শহরের সাহারা প্লাজা মিলনায়তনে জেলা বিএনপি ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান বাবুল চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, ফারজানা শারমিন পুতুল, দাউদার মাহমুদ, মিজানুর রহমান ডিউক, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ড. ইউনূস সাহেবের সারা বিশ্বে যেমন পরিচিত ও গ্রহণযোগ্যতা আছে তেমনি বাংলাদেশেও আছে। আমরা আশা করব তার নেতৃত্বে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনেই সিদ্ধান্ত হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় কারা দায়িত্ব পাবে।
তিনি আরও বলেন, পরাজিত যে ফ্যাসিবাদকে আমরা দেশ থেকে বিদায় করেছি; তারা কিন্তু বেশি দূরে না। সীমান্তের ওপারেই অপেক্ষা করছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা এখনো মাঝে মাঝে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। সেই ষড়যন্ত্রের জাল যেন আর বিস্তার না হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে যেন আরেকটা অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিতে না পারে এজন্যই আমরা নির্বাচন চাই। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
