‘পুরো পরিবারের মধ্যমনি ছিল আমাদের বোনটি, যেন সবার নয়নের মনি। শবে বরাতের রাতে বোন পরিবারের জন্য হালুয়া-রুটি ও সুস্বাদু খাবার রান্না করতো। সবাইকে নিয়ে ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে রাতটা পার করতো। কিন্তু এ বছর শবে বরাতের রাতে আমাদের বোনটি আর বেঁচে নেই, খুনিরা তাকে বাঁচতে দেয়নি।’

সোমবার সকালে ফেনীর সোনাগাজী আল হেলার একাডেমীর পাশে সামাজিক কবরস্থানে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কবর জিয়ারতের পর এসব কথা বলেন বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

নুসরাতের ভাই নোমান বলেন, আমরা এ ভাগ্য রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বোনের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি। বোন যেন জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি। এর পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে এ নির্মম হত্যার বিচারও চেয়েছি।

নোমান বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছেও আমাদের বোনের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আর কোনো ভাইকে বোন হারিয়ে আর্তনাদ করতে না হয়। বোনের শূন্যতায় ডুকরে ডুকরে কাঁদতে না হয়।

কবর জিয়ারতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনাগাজী প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ আবদুল হান্নান, আল হেলাল একাডেমীর সিনিয়র শিক্ষক মো. সেলিম আল দিন, চাচাতো ভাই মো. ফয়েজসহ নুসরাতের পরিবার ও স্বজনরা।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথমপত্র দিতে গেলে মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন থাকার পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।

এফএ/এমকেএইচ



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews