খানিক এগোতেই চোখ পড়ে মোহনবাবু নামের গরুটির দিকে। আড়াই বছরের একটু বেশি বয়সের গরুটির ওজন হয়েছে এক হাজার কেজির মতো। রাখার জায়গার সমস্যার কারণে মোহনবাবুকে বিক্রির জন্য এ বছর হাটে তোলা হয়েছে বলে জানান মালিক রনি আহমেদ।
গতকাল রাতে মেহেরপুর থেকে গাবতলীর হাটে এসেছেন রনি আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মোহনবাবুকে যে ঘরে রাখা হয়, সেই ঘরে ঢোকাতে ও বের করতে সমস্যা হচ্ছে। কদিন পর সেটাও আর সম্ভব হবে না। আবার ঘর ভেঙে নতুন করে বানাতে গেলে প্রায় লাখ টাকা খরচ পড়বে। তাই কোনো উপায় না দেখে বিক্রির জন্য হাটে আনা হয়েছে।
রনি আহমেদ আরও জানান, ‘দাম চাইছি ১৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুঠোফোনে অনেকে যোগাযোগ করছেন। তবে এখনো কেউ দাম বলছেন না। রমজানের ঈদের সময় পাইকাররা ছয় লাখ টাকা দাম বলেছিল।’
গাবতলীর স্থায়ী হাটে গরু নিয়ে আসা পাইকাররা জানান, এ বছর গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। গত বছরের তুলনায় প্রতি মণে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা বাড়তি দামে স্থানীয় হাটবাজার থেকে গরু কিনতে হচ্ছে। আর আকারভেদে ছাগলের দাম পড়ছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি।