আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দেশব্যাপী অটোমেশনের আওতায় আসছে সঞ্চয়পত্র। ফলে ১ জুলাই থেকে সঞ্চয় স্কিমের সুদ ও আসলের টাকা সরাসরি চলে যাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে। এতে একদিকে যেমন ঝামেলা কমবে তেমনি এর মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রে অতিরিক্ত বিনিয়োগও বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
১ জুলাই থেকে সিস্টেমের আওতাবহির্ভূত কোনো লেনদেন না করতে গত রবিবার অর্থ বিভাগ সঞ্চয়পত্রসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু এবং সঞ্চয় স্কিমের সুদ ও আসলের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর নিদের্শনা অনুসরণ করতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র অটোমেশন সিস্টেমটি চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই ঢাকা মহানগরীতে, এপ্রিলে বিভাগীয় শহরে এবং জুনে দেশের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত সব দপ্তরে চালু করতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে এ সিস্টেমের আওতাবহির্ভূতভাবে কোনো সঞ্চয় স্কিম লেনদেন না করতে সঞ্চয় স্কিম লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, এ সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দৈনিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকের হিসাব ডেবিট করে সরকারি হিসাবে ক্রেডিট করা এবং সঞ্চয় স্কিমের সুদ ও আসলের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অধস্তন দপ্তর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
চিঠিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার গত ৩ ফেব্রুয়ারি অভ্যন্তরীণভাবে অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।